তবে শুক্রবার গ্যাসের চাপ কিছুটা কম থাকলেও শনিবার সকালের মধ্যে ঢাকাসহ সারা দেশে গ্যাস সরবরাহ বাড়ায় সংকট অনেকটাই কেটে গেছে। বর্তমানে জাতীয় গ্রিডে ৬০০ মিলিয়ন ঘনফুট এলএনজি সরবরাহ হচ্ছে।
জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ সঞ্চালনে দায়িত্বে থাকা রাষ্ট্রীয় সংস্থা পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশের (পিজিসিবি) ঘণ্টাপ্রতি উৎপাদন চিত্রে দেখা গেছে, জাতীয় গ্রিডে এলএনজির সরবরাহ বাড়ায় গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুকেন্দ্রের উৎপাদন একদিনের ব্যবধানে প্রায় ১২০০ মেগাওয়াট বেড়েছে।
শনিবার বেলা ৩টার দিকে গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুকেন্দ্র থেকে উৎপাদন হয় ৫ হাজার ৩৮১ মেগাওয়াট। এক দিন আগে শুক্রবার বেলা ৩টার দিকে গ্যাসভিত্তিক কেন্দ্র থেকে উৎপাদন হয়েছিল ৪ হাজার ১৯১ মেগাওয়াট। গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়ায় কমেছে লোডশেডিং।
পিজিসিবির তথ্যে আরও দেখা যায়, শনিবার বেলা ৩টার দিকে ১৩ হাজার ৭০০ মেগাওয়াট চাহিদার বিপরীতে বিদ্যুৎ উৎপাদন হয় ১৩ হাজার ৪৮১ মেগাওয়াট। ওই সময় লোডশেডিং ছিল ২০৯ মেগাওয়াট।
পাইপলাইন ক্ষতিগ্রস্তের বিষয়টি নিয়ে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ জানিয়েছেন, সব পাইপলাইনের ম্যাপ সঙ্গে রাখতে হবে। ম্যাপ হাতে থাকলে এরকম দুর্ঘটনা ঘটবে না। গ্রাহক ভোগান্তি লাঘব করতে নিয়মিত মনিটরিং বাড়াতে হবে। এ সময় তিনি অনাকাঙ্ক্ষিত এই ঘটনার জন্য গ্রাহকদের কাছে দুঃখপ্রকাশ করেন।