নিউজ ডেস্ক:
২০১৮ সালে গ্যাসের উৎপাদন ৫০ শতাংশ বাড়বে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী।
গতকাল শনিবার রাজধানীর গুলশানে লেকশোর হোটেলে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) আয়োজিত ‘এনার্জি সিকিউরিটি-২০৩০ চ্যালেঞ্জ অ্যান্ড অপরচুনিটি’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, আগে দেশে উৎপাদিত বিদ্যুতের ৩৫ শতাংশ অসচেতনতার কারণে ক্ষতি হতো। কিন্তু বর্তমানে ক্ষতির পরিমাণ কমে এসেছে ১০ শতাংশ। সামনে আরো কমবে। এছাড়া ভারত থেকে ১১০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ ইতিমধ্যে এসেছে। তবে আমাদের লক্ষ্যমাত্রা ৩৫০০০ মেগাওয়াট।
তিনি আরো বলেন, ‘২.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগে স্থাপিত মাতারবাড়ী বিদ্যুৎ প্রকল্পটি দেশের বিদ্যুৎ খাতের প্রধান উৎস হিসেবে পরিণত হবে। ২০১৯ সালে পায়রা বিদ্যুৎ কেন্দ্র উৎপাদনে আসবে। নিজস্ব কয়লা ও গভীর সমুদ্রে কূপ খনন এবং উৎপাদন প্রক্রিয়া কিছুটা সময় সাপেক্ষ হওয়ায়, সরকার তরল জ্বালানি নির্ভর বিদ্যুৎ উৎপাদন করছে।
তিনি বলেন, ‘মিয়ানমার থেকে ক্রস-বর্ডার পাওয়ার ট্রেড-এর মাধ্যমে বিদ্যুৎ আমদানি করা যেতে পারে।’ তিনি এ খাতে দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তোলার উপর জোর দেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ ইকোনমিক জোনে নবায়নযোগ্য জালানি ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। এছাড়া অল্প সময়ের মধ্যেই সরকার এলএনজি গ্যাস আমদানি করবে।
সুন্দরবনের পাশে কয়লাভিত্তিক রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্প নিয়ে তিনি বলেন, রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্প নিয়ে অনেকদিন গবেষণা করে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। বাংলাদেশ ছোট দেশ, বড় জনসংখ্যা এটা মাথায় নিয়েই কাজ করতে হবে।
সেমিনারে বুয়েটের পেট্রোলিয়াম ও মিনারেল রিসোর্স বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ তামিম ডিসিসিআই এর পক্ষ থেকে প্রতিবেদন তুলে ধরেন। প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী বলা হয়, বিদ্যুৎ বিভাগে যথেষ্ট যোগ্য ও দক্ষ লোক নেই। বিদ্যুতে অদক্ষ জনবল মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) অর্জনে বড় বাধা। দক্ষ ও যোগ্য লোক ছাড়া জিডিপির লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা সম্ভব নয়।
প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে অন্যতম বাধা জমির অভাব। বর্তমানে ৬২ শতাংশ বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে গ্যাস থেকে। অথচ বিদ্যুতের দাম কমেনি। সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন ডিসিসিআইয়ের সভাপতি আবুল কাশেম। বিদ্যুৎ ও জ্বালানি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি তাজুল ইসলাম ও ডিসিসিআইয়ের নেতারা এতে উপস্থিত ছিলেন।