আজ মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) সকালে গতকাল সোমবার হাইকোর্টে করা রিটের শুনানি অনুষ্ঠিত শুরু হয়। শুনানিতে সরকারপক্ষের আইনজীবীদের আপত্তিতে এজলাসে বাকবিতণ্ডাও হয়।
আদালতে সাবেক রেলমন্ত্রী ও সিনিয়র আইনজীবী নুরুল ইসলাম সুজন বলেন, আন্দোলনকারীদের পক্ষে যে আইনজীবীরা রিট করেছেন, তারা আন্দোলনকারীদের কেউ না। সুতরাং, তারা শুনানি করতে পারেন না।
অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এস এম মুনির বলেন, আন্দোলনকারীদের ওপর পুলিশ আইন মেনেই গুলি করেছে। সুতরাং, এই রিট চলতে পারে না।
শুনানিতে অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মেহেদী হাসান বলেন, যারা লুঙ্গি পরে লাঠি নিয়ে আন্দোলন করেছে, যারা পুলিশ মেরে ঝুলিয়ে রাখে, তারা ছাত্র নয়। জীবন বাঁচাতে ৫২ জন পুলিশকে হেলিকপ্টার নিয়ে উদ্ধার করতে হয়, আমরা কোন দেশে আছি?
এর আগে, গতকাল সোমবার (২৯ জুলাই) করা রিটে ‘ছাত্রছাত্রী বা বিক্ষোভকারীদের রাস্তায় নামার আশঙ্কার কথা উল্লেখ করে তাদের ওপর গুলি না চালানোর নির্দেশনা চাওয়া হয়। সেইসঙ্গে এই রিটে কোটা বিরোধী আন্দোলনের ছয় সমন্বয়কের ডিবি হেফাজত নেয়াকে বেআইনি উল্লেখ করে তাদের মুক্তির নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।
একপর্যায়ে দুপুরে বিষয়টি শুনানির জন্য উপস্থাপন করা হলে রাষ্ট্রপক্ষে অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এস এম মুনির, শেখ মোহাম্মদ মোরশেদ ও মেহেদী হাসান চৌধুরী রিটটি গ্রহনযোগ্য নয় বলে রিটের আবেদন খারিজ করতে আবেদন করেন। সেই সঙ্গে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা বলেন, নিরাপত্তা দিতে ওই ছয় সমন্বয়কের ডিবি হেফাজত নেয়া হয়েছে। তাদের গ্রেপ্তার বা আটক করা হয়নি।
অন্যদিকে, রিটের পক্ষে ব্যারিস্টার সারাহ হোসেন, জেড আই খান পান্না, জ্যোতির্ময় বড়ুয়া, আইনজীবী অনিক আর হক, মানজুর আল মতিন ও আইনুন্নাহার সিদ্দিকা লিপি রিটের পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করেন। সেই সঙ্গে কোটা বিরোধী আন্দোলনের ছয় সমন্বয়কের ডিবি হেফাজত নেয়াকে বেআইনি উল্লেখ করে তাদের হাইকোর্টে উপস্থিত করা অথবা পরিবারের কাছে দিতে আদেশ চান।
একপর্যায়ে হাইকোর্ট রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনে ও রিটকারীদের পিটিশন কারেকশনের সময় দিয়ে শুনানির জন্য আজ মঙ্গলবার দিন ধার্য করেন।