নিউজ ডেস্ক:সকাল থেকেই আকাশ মেঘে আচ্ছন্ন। কখনো গুঁড়ি গুঁড়ি আবার কখনো মুষলধারে বৃষ্টি। সারা দিনে একবারও দেখা মেলেনি সূর্যের। এ বৃষ্টিতে হিম হিম অনুভব জানান দিচ্ছে এ তো শীতের আবাহন। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই আকাশ ছিল মেঘাচ্ছন্ন। ভোর থেকে শুরু হয় মুষলধারে বৃষ্টি। খানিকটা বিরতি দিয়ে আবারও বৃষ্টি। তবে দুপুরের দিকে কোথাও কোথাও হালকা থেকে মাঝারী ধরনের বৃষ্টিপাত হয়েছে। বিকেলে কিছুটা বৃষ্টির বেগ বাড়লেও সন্ধ্যার দিকে আবার গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি পড়তে থাকে। আর এ বৃষ্টিতে চুয়াডাঙ্গা শহরসহ অজপাড়াগাতে জেঁকে বসেছে শীতের আমেজ। যদিও পঞ্জিকার হিসেবে শীত আসতে অনেক দেরি। কিন্তু শহর থেকে গ্রাম, সর্বত্র চলছে শীতের আয়োজন।
এদিকে, বঙ্গোপসাগরে চলছে লঘুচাপ সৃষ্টি প্রক্রিয়া। সে মেঘে ছেয়ে গেছে সারা দেশের আকাশ। তাই তাপমাত্রা কমে গিয়ে হঠাৎ করেই প্রকৃতিতে শীতের আমেজ অনুভূত হচ্ছে। ভোরের কুয়াশা আর শিশির ভেজা পাতায় সকালের রোদ কিছুটা স্বস্তির পরশ দিলেও সন্ধ্যা নামলেই নগর থেকে গ্রাম পর্যন্ত আনাকানাচে শীতের আমেজ গায়ে জানান দিচ্ছে সবার। গভীর রাতে ঘুমের চোখে কাঁথার খোঁজ করতে হচ্ছে। এ সবকিছুই যেন শীতকাল চলে আসার সংকেত।
পঞ্জিকার হিসাবে এখন হেমন্তকাল। শীতের ঋতু পৌষ ধরা দিতে ঢের দেরি। জেলা আবহাওয়া অফিসের তথ্যমতে, এখন তাপমাত্রা ২০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ধীরে ধীরে নামতে শুরু করেছে। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত রেইনঠান্ডারে ৩২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্যানুসারে, ‘উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে ঘুর্ণি বাতাসের সৃষ্টি হয়েছে। এটি সমুদ্রে মেঘ সৃষ্টি করেছে। বাতাসের কারণে এ মেঘগুলো স্থলভাগে চলে এসেছে। এ মেঘের কারণেই ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি হচ্ছে। আগামী তিন দিন দিনের তাপমাত্রা আরও কমার সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করছেন তাঁরা। আবহাওয়ার গতি-প্রকৃতি আশঙ্কা করা হচ্ছে, এবার শীতের তীব্রতা অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে যেতে পারে।