ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে ইসরায়েলি বাহিনীর অব্যাহত হামলায় আরও ৪৩ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন শতাধিক মানুষ। ধ্বংসস্তুপের নিচে আটকা পড়েছেন অসংখ্য মানুষ, যাদের উদ্ধার কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। আল জাজিরা-এর এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় নিহত ফিলিস্তিনিদের মধ্যে নারী ও শিশুর সংখ্যা উল্লেখযোগ্য। এ নিয়ে ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া ইসরায়েলি হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৩ হাজার ৭৯৯ জনে। আহত হয়েছেন এক লাখ ৩ হাজার ৬০১ জন।
ধ্বংসস্তুপ থেকে উদ্ধারকাজ চালাতে গিয়ে স্থানীয়রা অসংখ্য চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছেন। আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর সাহায্য না পাওয়ায় উদ্ধার কার্যক্রমে দেরি হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
গত ৭ অক্টোবর হামাসের নজিরবিহীন সীমান্ত পেরিয়ে আক্রমণের পর থেকে ইসরায়েল গাজার ওপর প্রবল বিমান এবং স্থল হামলা চালিয়ে আসছে। এই হামলায় হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ এবং গির্জাসহ অসংখ্য ভবন ধ্বংস হয়েছে। স্থানীয় প্রশাসনের মতে, ইসরায়েলের এই আক্রমণ গাজাকে কার্যত ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছে।
গাজা কর্তৃপক্ষের মতে, এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে প্রায় ১০ হাজার মানুষ আটকা পড়ে আছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। খাদ্য সংকট ও মানবিক সহায়তার অভাবে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়ে উঠেছে।
জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের যুদ্ধবিরতির আহ্বান উপেক্ষা করে ইসরায়েল তার হামলা অব্যাহত রেখেছে। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলো ইসরায়েলকে গণহত্যার দায়ে অভিযুক্ত করেছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, গাজার ৭০ শতাংশ অবকাঠামো ইতোমধ্যেই ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়েছে। এই ধ্বংসযজ্ঞ মানবিক সংকটকে আরও জটিল করে তুলছে এবং মধ্যপ্রাচ্যে অস্থিরতা ছড়ানোর ঝুঁকি বাড়াচ্ছে।