বায়েজীদ (গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি) :
বিদেশে যাওয়ার জন্য ৪ লাখ টাকা ধার নিয়ে তা ফেরত না দিয়ে উল্টো ধারদাতা অ্যাড. শহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে হয়রানিমূলক মিথ্যা মামলা দায়ের করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনাটির প্রতিকার দাবী করে ১৬ আগস্ট রোববার গাইবান্ধা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে শহিদুল ইসলামের জামাতা নাজমুল ইসলাম উল্লেখ করেন, গাইবান্ধা সদর উপজেলার বাদিয়াখালি ইউনিয়নের চকবরুল গ্রামের মৃত ওয়াহেদ আলীর ছেলে শহিদুল ইসলাম একজন আইনজীবী। তিনি জেলা জজ কোর্টে এপিপিও হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়া তিনি বাদিয়াখালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি। ২০১৮ সালের ২১মে প্রতিবেশী মিঠুন চন্দ্র বর্মন বিদেশে যাওয়ার সময় চলতি বছরের ২১মে ফেরত দেয়ার শর্তে তার কাছ থেকে ৪ লাখ টাকা
১৫০ টাকার নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করে ধার নেয়। চুক্তি মোতাবেক নির্ধারিত তারিখ পাওনা টাকা ফেরত চাইতে গেলে মিঠুন চন্দ্র বর্মনের লোকজন নানা তালবাহানা ও সময়ক্ষেপন করতে থাকে। এরই জের ধরে গত ২৯ জুলাই মিঠুন চন্দ্রের বাড়িতে গেলে শহিদুল ইসলামের সাথে তাদের কথা কাটাকাটি হয়।
এর সুত্র ধরে তার দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ গীরেন্দ্রনাথ বর্মনের প্ররোচনায় শহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে হয়রানিমূলক মিথ্যা মামলা দায়ের করে এবং সুপরিকল্পিতভাবে নানা মাধ্যমে অপপ্রচার চালিয়ে সামাজিক ও রাজনৈতিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার অপচেষ্টায় লিপ্ত হয়। এব্যাপারে সদর থানায় মিঠুন চন্দ্র বর্মনসহ ৩ জনের নামে এজাহার দাখিল করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন শহিদুল ইসলাম পরিবারের পক্ষ থেকে মিনারা বেগম, আমেনা বেগম, শাহজামাল ইসলাম, সুলতান ব্যাপারী প্রমুখ।