তবে, চেয়ারম্যান প্রার্থী জামানত হারানোর মধ্যে তিন প্রার্থী নির্বানের কয়েকদিন আগেই নির্বাচন থেকে সরে দাড়িয়েছিলেন। এরা হলেন, গাংনী উপজেলা পরিষদের সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট একেএম শফিকুল আলম (কাপ পিরিচ), লাইলা আরজুমান বানু শিলা দোয়াত কলম ও গাংনী উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মোশাররফ হোসেন (মোটরসাইকেল)। ভোটের মাঠে থেকে দুই প্রার্থী তাদের জামানত হারিয়েছেন। এরা হলেন বিএনপি থেকে বহিস্কৃত জুলফিকার আলী ভূট্টো (কৈ মাছ) ও মুকুল জোয়াদ্দার (শালিক পাখি)।
সে অনুযায়ী গাংনী উপজেলা পরিষদের ৫ প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হবে। এই প্রার্থীরা হলেন বিএনপি থেকে বহিস্কৃত মেহেরপুর জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও গাংনী উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান জুলফিকার আলী ভুট্টো (কৈ মাছ) প্রতিকে পেয়েছেন ৪ হাজার ৯৫৭, গাংনী উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মোশাররফ হোসেন (মোটরসাইকেল) প্রতিকে পেয়েছেন ৭০৪, সাবেক উপজেলা
চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট একেএম শফিকুল আলম (কাপ পিরিস) প্রতিকে পেয়েছেন মাত্র ২৮৯, উপজেলা যুব মহিলা লীগ নেত্রী লাইলা আরজুমান শিলা (দোয়াত কলম) প্রতিকে পেয়েছেন ২২৭ এবং গাংনী হর্কাস মার্কেটের সভাপতি মুকুল আহম্মেদ ওরফে মহিবুল জোয়াদ্দার (শালিক পাখি) প্রতিকে পেয়েছেন ২০১ ভোট। সরকারি প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী এরা সবাই তাদের জামানত হারাচ্ছেন। নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদে রেজাউল হক (চশমা) তার জামানত হারাচ্ছেন। তিনি পেয়েছেন ১৬৮২ ভোট।
মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত গাংনী উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৮ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এতে মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও গাংনী উপজেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান এম এ খালেক (আনারস) প্রতীক নিয়ে ৩৩ হাজার ৭২৩ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান পদে পুনঃনির্বাচিত হয়েছেন।
তার নিকটতম প্রার্থী মাখেলেছুর রহমান মুকুল (হেলিকপ্টার) প্রতীক নিয়ে ২৮ হাজার ২৯৩ ভোট পান এবং তৃতীয় স্থানে রয়েছেন উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভােকেট রাশেদুল হক জুয়েল (ঘোড়া), তিনি ভোট পেয়েছেন ১৫ হাজার ৫৬০ ভোট।