নিউজ ডেস্ক:
গরম কালের হাজারও খারাপ দিকের মধ্যে একটি হল হিট স্ট্রোক। গরম যত বাড়তে থাকে, তত আশঙ্কা বাড়ে শরীর খারাপ হয়ে যাওয়ার। এমনকী এই কারণে প্রতি বছর কত মানুষের যে মৃত্যু হয়, তা গুনে শেষ করা যাবে না। প্রসঙ্গত, মারাত্মক গরমের কারণে শরীরের ভেতরের পানি যখন শুকিয়ে যায়, তখন ধীরে ধীরে শরীর ছেড়ে দিতে শুরু করে। সেই সময় যদি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া না যায়, তাহলেই খারাপ কিছু হওয়ার আশঙ্কা থাকে। এই অবস্থাকেই চিকিৎসা বিজ্ঞানের পরিভাষায় হিট স্ট্রোক বলা হয়ে থাকে।
কখন হিট স্ট্রোক হওয়ার অশঙ্কা সবথেকে বেশি থাকে? অনেকক্ষণ ধরে গরমে থাকলে আমাদের শরীরের কিছু অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ ঠিক মতো কাজ করা বন্ধ করে দেয়। তখন শ্বাসকষ্ট, মাথা যন্ত্রণা, অস্বাভাবিক হার্ট রেট, মাথা ঘোরা, ত্বক লাল হয়ে যাওয়া এবং মারাত্মক ঘাম হওয়ার মতো ঘটনাগুলি ঘটতে থাকে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে রোগী অজ্ঞানও হয়ে যেতে পারেন। এমন পরিস্থিতির হাত থেকে বাঁচতে কি কোনো উপায় আছে, যা মেনে চললে প্রচন্ড গরমেও সুস্থ থাকা সম্ভব হবে? অবশ্যই আছে! তবে সে সম্পর্কে জানতে চোখ রাখতে হবে এই প্রবন্ধে।
১. পেঁয়াজের রস
শুনতে যতই আজগুবি লাগুক না কেন, গরম থেকে বাঁচতে পেঁয়াজের রসের কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। তবে এই জুস খেতে হবে না। পরিবর্তে কানের পিছন দিকে এবং বুকে লাগাতে হবে। এমনটা করলেই দেখবেন শরীরের তাপমাত্রা হ্রাস পাবে। সেই সঙ্গে কমবে হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও। প্রসঙ্গত, খাবারের সঙ্গে কাঁচা পিঁয়াজ খেলেও কিন্তু একই উপকার পাবেন।
২. তেঁতুল জল
অল্প পরিমাণ তেঁতুল জলে নিয়ে কম করে ১০ মিনিট ফুটিয়ে নিন। তারপর সেই জলটা পান করুন। প্রসঙ্গত তেঁতুলে রয়েছে প্রচুর মাত্রায় খনিজ, ইলেকট্রোলাইটস এবং ভিটামিন, যা শরীরের তাপমাত্রা কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।
৩. প্লাম
গরমকালে শরীরে জলের মাত্রাকে ঠিক রাখাই আমাদের সব থেকে প্রথম কাজ। এমনটা করলেই দেখবেন হিট স্ট্রোকের মতো মারণ অবস্থার সম্মুখিন হতে হবে না। আর এই কাজটাই করে থাকে প্লাম। সেই সঙ্গে শরীরে অ্যান্টি-অক্সিডেন্টর মাত্রা বাড়িয়ে দেয় এই ফলটি। ফলে শরীরের প্রদাহ কমে গিয়ে হিট স্ট্রোকের আশঙ্কা হ্রাস পায়। প্রসঙ্গত, পরিমাণ মতো প্লাম নিয়ে পিষে নিন। তারপর তা জলে মিশিয়ে সেই জলটা পান করুন।
৪. ডাবের জল
গরম থেকে বাঁচতে ডাবের জলের কোনও বিকল্প নেই বললেই চলে। তাই তো এই গরমে যদি প্রতিদিন একটা করে ডাব বা বাটার মিল্ক খেতে পারেন, তাহলে দেখবেন শরীর একেবারে চাঙ্গা থাকবে। আসলে ডাবের জল আর বাটার মিল্ক শরীরে খনিজের ঘাটতি হতে দেয় না। ফলে যে কোনও ধরনের শারীরিক সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা কমে।
৫. মিন্ট জুস
অল্প করে মিন্ট পাতা নিয়ে জুস বানিয়ে ফেলুন। এই জুস গরম কালে প্রতিদিন খেলে হিট স্ট্রোকের কবলে পরার আশঙ্কা কমে।
৬. অ্যাপেল সিডার ভিনিগার
এক গ্লাস জল নিয়ে তাতে পরিমাণ মতো অ্যাপেল সিডার ভিনিগার মিশিয়ে খেয়ে ফেলুন। এমনটা করলে শরীরে খনিজ এবং ইলেকট্রোলাইটসের ঘাটতি দূর হয়। ফল অতিরিক্ত গরম এবং ঘামের কারণে শরীর খারাপ হয়ে যাওয়ার কোনও আশঙ্কাই থাকে না।
৭. অ্যালোভেরা জুস
গরম থেকে বাঁচতে এই প্রাকৃতিক উপাদানটি দারুন ভাবে সাহায্য করে। প্রতিদিন সকালে এক গ্লাস অ্যালো ভেরা জুস পান করলে শরীর গরম সহ্য করার জন্য তৈরি হয়ে যায়, ফলে গরমের কারণ শরীর খারাপ হওয়ার আর কোনও আশঙ্কাই থাকে না।
৮. চন্দন পেস্ট
শরীরের তাপমাত্রা কমাতে চন্দনের পেস্ট দারুন কাজে দেয়। অল্প করে চন্দন বেটে নিয়ে সেই পেস্ট কপালে এবং বুকে লাগালেই শরীর ঠান্ড হতে শুরু করে।