নিউজ ডেস্ক:
মহান মুক্তিযুদ্ধের স্মারক ভাস্কর্য ‘অপরাজেয় বাংলা’র ভাস্কর, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক, একুশে পদকপ্রাপ্ত শিল্পী প্রফেসর সৈয়দ আবদুল্লাহ খালিদ ও দেশবরেণ্য আবৃত্তি শিল্পী, বীর মুক্তিযোদ্ধা, স্থপতি কাজী আরিফকে গভীর শ্রদ্ধায় স্মরণ করলেন প্রবাসীরা। এই দুই শিল্পীর মৃত্যুতে বাঙালি জাতির অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে বলে স্মরণ সমাবেশের বক্তারা অভিমত পোষণ করেন।
উত্তর আমেরিকাস্থ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় এলামনাই এসোসিয়েশনের উদ্যোগে গত শুক্রবার সন্ধ্যায় নিউইয়র্ক সিটির জ্যাকসন হাইট্স’র মেজবান পার্টি হলে অনুষ্ঠিত হয় এ স্মরণ সমাবেশ।
সম্প্রতি জাতির আরো কয়েকজন কৃতি সন্তান পরলোক গমন করেছেন, তাদেরকেও গভীর শ্রদ্ধায় স্মরণ করা হয়। তারা হচ্ছেন- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ভাষাতাত্ত্বিক ড. রাজিব হুমায়ুন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ড. আহমদ ফজলে হাসান চৌধুরী, একুশে পদকপ্রাপ্ত ড. করুণাময় গোস্বামী, মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ শহীদুল হক মামা, সুরেশ চক্রবর্তী এবং ওস্তাদ সুধীন দাশ। তাদের সকলের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করা হয় এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জানানো হয়।
স্মরণ সভায় মুখ্য আলোচক ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের সাবেক বিভাগীয় প্রধান ও বগুড়া পল্লী উন্নয়ন একাডেমির সাবেক মহাপরিচালক প্রফেসর ড. আশরাফ উদ্দিন আহমেদ। সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি অধ্যাপক জাহাঙ্গীর শাহনেওয়াজ ডিকেন্স ও সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সাবিনা শারমিন নিহারের পরিচালনায় স্মরণ সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সভাপতি এম. এ. আজিজ নঈমী। অন্যান্যের মধ্যে আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ও সি.আই.ইউ’র সাবেক উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. ইরশাদ কামাল খান, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজ বিজ্ঞান অনুষদের সাবেক ডিন প্রফেসর হোসাইন কবির, সাপ্তাহিক ঠিকানার প্রধান সম্পাদক মুহাম্মদ ফজলুর রহমান, প্রফেসর সৈয়দ আবদুল্লাহ খালিদের কন্যা রুহী শরীফ, প্রফেসর ড. রাজিব হুমায়ুনের পরিবারের সদস্য ডা. হাসান শহীদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলামনাই এসোসিয়েশনের সভাপতি এ. কে. আজাদ তালুকদার, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় এলামনাই এসোসিয়েশন, কানাডার প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও চট্টগ্রাম সমিতির সাবেক সভাপতি ইলিয়াছ মিয়া। সংগঠনের সাবেক সভাপতি ও উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য অধ্যাপক স্বপন দাস এবং বিষ্ণু গোপ, অ্যাডভোকেট নাজনীন মামুন, বাংলাদেশ টেলিভিশনের সাবেক প্রযোজক শাহেদা আরবী, প্রগ্রেসিভ ফোরাম ইউ.এস.এর সভাপতি খোরশেদুল ইসলাম, কম্যুনিটি এ্যাক্টিভিস্ট মিনহাজ শাম্মু, বাংলাদেশ সোসাইটির শিক্ষা ও স্কুল সম্পাদক আহসান হাবিব, সংগঠনের সাংস্কৃতিক সম্পাদক শিবলী ছাদেক, কাজী আরিফের ছাত্রী সৈয়দা পারভিন আকতার। কাজী আরিফের স্বরচিত কবিতা আবৃত্তি করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সাবিনা শারমিন নিহার। স্মরণ সভার শুরুতে ‘আমার প্রাণের পরে চলে গেল কে’ সঙ্গীতটি পরিবেশন করেন কনিকা দাস।