নিউজ ডেস্ক:
খুলনা পাবলিক কলেজের প্রাক্তন ছাত্র ও শিক্ষকদের সমন্বয়ে ওল্ড কেপিসিয়ান (ওকে) নামের একটি সংগঠন তৈরির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
পাবলিক কলেজের ৩০ বছর পূর্তি অনুষ্ঠান আয়োজন এবং একটি প্রাক্তন ছাত্র পরিষদ গঠনের উদ্দেশ্যে প্রাক্তন ছাত্র ও শিক্ষকদের এক মিলনমেলায় এ সংগঠন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এ সময় একটি আহ্বায়ক কমিটিও করা হয়।
ওল্ড কেপিসিয়ানের (ওকে) দাপ্তরিক আহ্বায়ক চিশতি মাহমুদ হাসান শনিবার সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানান, শুক্রবার ঢাকার সুন্দরবন হোটেলে এক মিলনমেলায় ১৯৮৭ সাল থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত প্রতিটি ব্যাচের অন্তত দুজন প্রতিনিধি যোগ দেন। শতাধিক প্রাক্তন ছাত্রের এই মিলনমেলায় খুলনা থেকে এসে যোগ দেন পাবলিক কলেজের উপাধ্যক্ষ সেলিম হায়দার চৌধুরী এবং সহযোগী অধ্যাপক তাসরিনা বেগম।
মিলনমেলাতেই সর্বসম্মতিক্রমে চলতি বছরেই সুবিধামত সময়ে খুলনা পাবলিক কলেজ চত্বরে দুই দিনব্যাপী পুনর্মিলনী ও ৩০ বছর পূর্তি অনুষ্ঠানের আয়োজন করার সিদ্ধান্তও হয়।
এই পুনর্মিলনী আয়োজন এবং সংগঠন তৈরির জন্য ৪০ সদস্য বিশিষ্ট একটি আহ্বায়ক কমিটিও করা হয়।
এতে আহ্বায়ক নির্বাচিত হন ঢাকার কলাবাগান থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আরাফাত খান এবং সদস্য সচিব নির্বাচিত হন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ওয়ালী উল আলীম। কমিটির অন্যরা হলেন- কোষাধ্যক্ষ বিশিষ্ট ব্যাংকার এনামুল কবির রিপন; দাপ্তরিক আহ্বায়ক সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব চিশতী মাহমুদ হাসান; যুগ্ম আহ্বায়ক এহসান এলাহি, এএইচএম মেজবাউল হক, কাজী আহসান জাকি ও এএইচএম তোহিদুর রহমান মুন; যুগ্ম সদস্য সচিব মাহবুবুর রহমান টুটুল, এসএম সাউফুর রহমান, রাসেল হায়দার রাজু, এস এম আল মাসুম বিল্লাহ ও শারাফাতুল ইসলাম ইরাক; যুগ্ম দাপ্তরিক আহ্বায়ক আহ্রার হোসেন ও আলমগীর হোসেন লালন। কমিটিতে উপদেষ্টা হিসেবে রয়েছেন মইনুল হাকিম ইমন, এস এম ইমরান আলম, এইচএম মুস্তাফিজুর রহমান চুন্নু, তানভির সাজ্জাদ, এস কে তাহমিন আলী, মো. নাসির ঢালী, শেখ সাদী ও ফয়েজ আহমেদ।
অনুষ্ঠানে সিদ্ধান্ত হয়, শুধু প্রাক্তন ছাত্র নয়, যেসব শিক্ষক খুলনা পাবলিক কলেজ থেকে অবসরে যাবেন, তারাও ওল্ড কেপিসিয়ানের সদস্য হওয়ার যোগ্য হবেন।
মিলনমেলায় টেলিফোনের মাধ্যমে বক্তব্য দেন খুলনা পাবলিক কলেজের অধ্যক্ষ লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. জাহাঙ্গীর আলম।তিনি ওল্ড কেপিসিয়ানের সর্বাঙ্গীন মঙ্গল কামনা করেন এবং খুলনা পাবলিক কলেজ ক্যাম্পাসে ওল্ড কেপিসিয়ানের জন্য একটি কার্যালয় বরাদ্দের প্রতিশ্রুতি দেন।