নিউজ ডেস্ক:
উত্তর কোরিয়ার সম্ভাব্য ক্ষেপণাস্ত্র হামলা থেকে শিশুদের রক্ষার্থে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা শুরু করে দিয়েছে প্রতিবেশী দেশ জাপান। এ প্রসঙ্গে দেশটির সরকারী কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বহির্দেশীয় যেকোনো আক্রমণে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় থাকে শিশুরা। আর সাম্প্রতিক উত্তর কোরিয়ার বিভিন্ন হুমকির প্রেক্ষিতে নিজেদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে প্রস্তুত করছেন তারা। এতে অংশগ্রহণকারী শিশু, শিক্ষক ও স্বেচ্ছাসেবীদের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন তারা।
তবে জাপানের প্রধানমন্ত্রী পরিষদ পরামর্শদাতা আসুশি ওদানি বলেন, এটি এক ধরনের সতর্কতামূলক ব্যবস্থা। তাছাড়া নিজেদের ভূমিতে যেনো কোনো ধরনের মিসাইল হামলা না হয় সে ব্যাপারে পার্শ্ববর্তী সকল দেশের সঙ্গে সম্ভাব্য সব ধরনের সমাধানে আসবে জাপান। তারপরও যদি দেশটিতে এ ধরনের কোনো হামলা চালানো হয়, দেশটির সশস্ত্রবাহিনী সবার আগে সেটিকে নস্যাৎ করে দেবে বলেও প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তিনি।
শিশুদের এই প্রশিক্ষণে দেখা যায়, হঠাৎ বেজে ওঠে সাইরেন। সঙ্গে সঙ্গেই ক্লাস রুম থেকে লাইন বেধে ছুটে আসে ছোট ছোট শিশুরা। মনে হয় তারা যেন শিক্ষকদের নির্দেশনায় হংস-হংসী খেলায় মেতে উঠবে। কিন্তু না, পরক্ষণেই সবাই মাটিতে বসে পরবর্তী নির্দেশনার অপেক্ষা করতে লাগে। আবারও সাইরেন। এবার লাউড স্পিকারে ভেসে আসলো একটি ঘোষণা ‘একটি ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হেনেছে। ’ মুহূর্তেই শিশুদের দল সুনিয়ন্ত্রিতভাবে ছুটল স্কুলের জিমনেশিয়ামের দিকে। সেখানে স্বেচ্ছাসেবকরা প্রত্যেককে সুরক্ষিত কক্ষের মেঝেতে সুশৃঙ্খলভাবে বসিয়ে দিল। কিছু বুঝে ওঠার আগেই ছোট্ট শিশুদের চোখেমুখে ঘোরলাগা বিস্ময় শুধু জেগে থাকল।