নিউজ ডেস্ক:
অতিবৃষ্টি, সিডিএ’র ফ্লাইওভার নির্মাণ, ওয়াসার পাইপ লাইন স্থাপন, কর্ণফুলী গ্যাসের পাইপ লাইন স্থাপন, টিএন্ডটি’র লাইন স্থাপনসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন কাজের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত সড়কগুলো দ্রুত সংস্কারের নির্দেশ নিয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন।
গতকাল বুধবার দুপুরে চসিকের সম্মেলন কক্ষে প্রকৌশলীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এ নির্দেশ দেন। তিনি নগরীর হালিশহর রোড, আগ্রাবাদ এক্সেস রোড, পোর্ট কানেকটিং রোড, সিডিএ এভিনিউ, আরাকান সড়ক, ভিআইপি সড়ক ও অন্যান্য সড়কের মেরামত কাজ দ্রুতগতিতে সম্পাদন করারও নির্দেশ দেন। প্রধান প্রকৌশলী লে. কর্নেল মহিউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. রফিকুল ইসলাম, মনিরুল হুদা, আবু ছালেহ, আনোয়ার হোছাইন, কামরুল ইসলাম, নির্বাহী প্রকৌশলী, সহকারী প্রকৌশলী ও উপ সহকারী প্রকৌশলীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
তিনি বলেন, টেন্ডারের মাধ্যমে নগরীর পোর্ট কানেকটিং রোড ও আগ্রাবাদ এক্সেস রোডের উন্নয়ন কাজ আগামী ১ মাসের মধ্যে শুরু করতে হবে। তাছাড়া আগ্রাবাদ এক্সেস রোডের ২ দশমিক ১ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য এবং ১২০ ফুট প্রস্থের উন্নয়ন কাজে ৫৩ কোটি টাকা এবং পোর্ট কানেকটিং রোডের দুই ধাপে ৪ দশমিক ২ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য এবং ১২০ ফুট করে প্রস্থের উন্নয়ন কাজে ১০৪ কোটি টাকাসহ মোট ১৫৭ কোটি টাকার বরাদ্দ দেয়া হয়ছে। এ অর্থে অলংকার থেকে নিমতলা এবং বাদামতল থেকে বড়পোল পোর্ট কানেকটিং রোড পর্যন্ত উন্নয়ন করা হবে।
মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, নতুন এ্যাসফল্ট প্ল্যান্ট স্থাপনের কাজ যাতে দীর্ঘায়িত না হয় সে বিষয়টি বিবেচনায় রেখে এ্যাসফল্টপ্ল্যান্ট স্থাপনে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। ৪ ড্রেনেজ জোনের প্রধানদের খাল, নালা- নর্দমা ইত্যাদি পরিষ্কার ও খননের কার্যক্রমে পরিচ্ছন্ন বিভাগ ও যান্ত্রিক শাখার সাথে সমন্বয় সাধন, চসিকের অটো হান্টিং নম্বর হতে প্রাপ্ত অভিযোগ আমলে এনে সম্পাদন করা, টেন্ডার ইভ্যালুয়েশনের পর এনওএ প্রদানে বিলম্ব না করা, নগরীর ৪১ টি ওয়ার্ডে ‘চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের আওতাধীন বন্যা ও জলাবদ্ধতায় ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তা সমূহের উন্নয়ন এবং খাল-নালার প্রতিরোধ দেয়াল, ব্রিজ ও কালভার্ট নির্মাণ, পূনঃনির্মাণ’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় ৭১৬ কোটি ২৮ লাখ ৫০ হাজার টাকার কাজের টেন্ডার জরুরি ভিত্তিতে সম্পন্ন করা, জাইকা প্রকল্প সমূহের অনুকুলে দায়িত্বপ্রাপ্ত তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ও নির্বাহী প্রকৌশলীদের কাজের অগ্রগতি পর্যালোচনা, প্রশাসনিক অনুমোদন নিয়ে জরুরি কাজ সম্পাদন করা, জরুরি প্রয়োজনীয় আইটেম সমূহ মাসিক এবং ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে ক্রয় করা সহ নানা বিষয়ে আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।