বৃহস্পতিবার, ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০২৫
বৃহস্পতিবার, ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০২৫

কোহলিদের হারে উল্লাস কাশ্মীরে !

নিউজ ডেস্ক:

দীর্ঘদিনের খরা কাটিয়ে দেশকে ট্রফি এনে দিয়েছেন পাকিস্তানি ক্রিকেটাররা। ফলত বাঁধনছাড়া উচ্ছ্বাস সে দেশের সমর্থকদের মধ্যে। আর এই সুযোগেই ভারতকে একহাত নিতে ছাড়ছেন না পাক সেনা কর্মকর্তারা।

ভারত ও পাকিস্তানের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক তলানিতে বললেও কম বলা হয়। তা এতটাই তিক্ত যে, সৌজন্যের স্বাভাবিক প্রক্রিয়াগুলোও বিভিন্ন সময় ব্যাহত হয়েছে। লাগাতার সীমান্তে হামলা চালিয়ে চলেছে দু’দেশ। কাশ্মীরে জঙ্গি হানা যেন নিত্যদিনের ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

চলতি বছরেই উরিতে বড়সড় হামলা চালিয়েছে পাকিস্তান। প্রাক্তন ভারতীয় নৌসেনা কুলভূষণ যাদবকে চর সন্দেহে আটক করে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে। সময়ে সময়ে এই সবের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছে ভারতও। কখনও প্রাক্তন প্রতিরক্ষামন্ত্রী মনোহর পারিকর তো কখনও বর্তমানে দায়িত্বপ্রাপ্ত অরুণ জেটলি, সেনাপ্রধান বিপিন রাওয়াত থেকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং- পাকিস্তানকে তোপ দাগতে কেউই পিছপা হননি। এই প্রেক্ষিতেই ভারত-পাক মুখোমুখি হওয়ার আঁচই আলাদা ছিল। তা শুধু সমর্থকদের মধ্যেই ছিল না। ছিল সেনার অন্দরেও। অন্তত পাকিস্তানের জয়ের পর উল্লাসের ছবি ও কটাক্ষের ফিরিস্তিতে তারই প্রমাণ মিলছে।

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনাল দেখেছিলেন পাক সেনাপ্রধান কামার বাজওয়া। তাঁর ভিকট্রি সাইন দেখানোর ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় সামনে আনেন সামরিক মুখপাত্র মেজর জেনারেল আসিফ গফুর। সেই সঙ্গে পাক সেনার উল্লাস প্রকাশের ছবিও পোস্ট করেন তিনি। বালোচে পাক সমর্থকদের বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাসের ছবি দিয়ে তিনি লেখেন-টু হুম ইট মে কনসার্ন। নাম না করেও এই একটা কথাতেই ভারতকে যা কটাক্ষ করার তা করে রেখেছেন তিনি।

রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ আসলে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির স্বাধীনতা দিবসের ভাষণের জবাব। সেদিন পাকিস্তানের নাম না করেই সন্ত্রাসে মদত দেওয়া বা সন্ত্রাসের আঁতুড়ঘর হিসেবে পড়শি দেশটিকে চিহ্নিত করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। এতদিনে তার জবাব দেওয়ার সুযোগ পেয়ে প্রত্যুত্তর দিতে কসুর করেননি পাক সেনা। শ্রীনগরেও উল্লাস প্রকাশের ছবি দিয়ে সেনা মুখপাত্র জানিয়েছেন এটাই তাঁদের দেশ।

খেলার ময়দান থেকে অনেক আগেই এ ম্যাচ উত্তীর্ণ হয়েছিল জাতীয়তাবাদ প্রমাণের মঞ্চে। কিন্তু খেলার নিয়মেই হেরেছেন কোহলিরা। তার সঙ্গে জাতীয়তাবাদের কোনও সম্পর্ক নেই। আর তাই ম্যাচের পর দুই দেশের ক্রিকেটারদের হাসিখুশি মেজাজে কথাবার্তা বলতেও দেখা গিয়েছে। যদিও এখন ম্যাচের ফলাফলকে সম্বল করেই ভারতকে একহাত নিতে ছাড়ছেন পাক সেনাও।

সূত্র: সংবাদ প্রতিদিন

Similar Articles

Advertismentspot_img

Most Popular