এর সহজ উত্তর হলো, কারো ওপর কোরবানি ওয়াজিব না হলে তাকে কোরবানি করতে হবে না। সে আকিকা দিলেও সমস্যা নেই। যার ওপর কোরবানি ওয়াজিব তাকে কোরবানি করতে হবে। এ ক্ষেত্রে আকিকা ও কোরবানির মাঝে কোনো সম্পর্ক নেই। আকিকা এক আমল, কোরবানি আরেক আমল। আকিকা মোস্তাহাব ও কোরবানি ওয়াজিব। আকিকা সারা বছর করা যায় আর কোরবানি শুধু তিন দিন করা যায়।
কোরবানির দিনসমূহ তথা ১০, ১১ ও ১২ জিলহজ এই তিন দিনে নিত্যপ্রয়োজনীয় খরচ ছাড়া যে ব্যক্তির কাছে সাড়ে বায়ান্ন তোলা রুপা বা এর সমমূল্য বা সাড়ে সাত তোলা স্বর্ণ বা এর সমমূল্য পরিমাণ সম্পদ থাকবে, তার ওপর কোরবানি করা আবশ্যক।
আল্লাহ বলেন,
اِنَّاۤ اَعۡطَیۡنٰکَ الۡکَوۡثَرَ فَصَلِّ لِرَبِّکَ وَ انۡحَرۡ اِنَّ شَانِئَکَ هُوَ الۡاَبۡتَرُ
নিশ্চয় আমি তোমাকে কাওসার দান করেছি। সুতরাং তোমার রবের উদ্দেশে সালাত আদায় করো ও কোরবানি করো। নিশ্চয় তোমার প্রতি শত্রুতা পোষণকারীই নির্বংশ। (সুরা কাওসার: ১-৩)
হজরত আবু হোরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত আল্লাহর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন,
مَن كان له سَعَة ولمْ يُضَحِّ فلا يَقْرَبَنّ مُصَلّانا
যার কোরবানি করার সামর্থ্য রয়েছে কিন্তু কোরবানি করে না সে যেন আমাদের ইদগাহে না আসে। (সুনানে ইবনে মাজা: ৩১২৩)
নিজের ওপর ওয়াজিব কোরবানি আদায় করার পর মা-বাবাসহ যে কারো নামেই একাধিক কোরবানি করা যায়। চাইলে কোরবানির পশুর সঙ্গে আকিকার নিয়তও করা যায়। তাই বলে আকিকা না করে কোরবানি করা যায় না এমন ধারণা ঠিক নয়।