কোপা আমেরিকার ফাইনালে সোমবার (১৫ জুলাই) কলম্বিয়াকে ১-০ গোলে হারিয়ে ১৬তম বারের মতো শিরোপা জিতে নিয়েছে আর্জেন্টিনা। তাইতো ফাইনাল ম্যাচ শেষে টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কারটা নিতে গিয়ে তেমন একটা হাসি ছিলো না কলম্বিয়ান অধিনায়কের মুখে।
২০০১ সালের পর মহাদেশীয় শ্রেষ্ঠত্বের পুরস্কার জিততে এসেছিলো কলম্বিয়া। টুর্নামেন্টে দুর্দান্ত গতিতে ছুটছিলও তারা।
আর্জেন্টিনার মতোই অপরাজিত থেকে ফাইনালে উঠেছিলো তারা। সামনে থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন রদ্রিগেজই।
কিন্তু ফাইনালে এসে ধরাশায়ী হলেন তারা। তাতে ২৩ বছর পর ট্রফি জয়ের স্বপ্নেরও অপেক্ষা বাড়লো তাদের।
টুর্নামেন্টে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করে আবারো ফুটবলপ্রেমীদের হৃদয় জয় করেছেন রদ্রিগেজ। টুর্নামেন্টে তার অবিশ্বাস্য পারফরম্যান্স দেখে কেউ কেউ বলছেন কলম্বিয়ান তারকার পুর্নজন্ম হয়েছে। কোপায় ১ গোলের বিপরীতে ৬ অ্যাসিস্ট রয়েছে তার। যার পুরস্কার হিসেবে সেরা খেলোয়াড়ের স্বীকৃতি পেয়েছেন তিনি। তবে পুরস্কার নেওয়া সময় তাকে দেখে মনে হয়েছে এই পুরস্কার জিততে আসেননি, লিওনেল মেসিদের হাতে যা শোভা পাচ্ছে সেটা চেয়েছিলেন তিনি। তবে ভাগ্যে ছিল না তার।
টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার রদ্রিগেজ পেলেও বাকি দুই মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কার জিতেছেন দুই আর্জেন্টাইন লাউতারো মার্তিনেজ ও এমিলিয়ানো মার্তিনেস। ফাইনালের গোলদাতা স্ট্রাইকার মার্তিনেজ জিতেছেন গোল্ডেন বুটের পুরস্কার। আর গোলরক্ষক মার্তিনেস জিতেছেন সেরা গোলরক্ষকের পুরস্কার। সবশেষ দুই মহাদেশীয় শ্রেষ্ঠত্বের টুর্নামেন্টসহ বিশ্বকাপেও সেরা গোলরক্ষকের পুরস্কার জিতেছেন তিনি। অ্যাস্টন ভিলার গোলরক্ষকের যেন তুলনাই হয় না।
পুরস্কারজয়ী খেলোয়াড়দের তালিকা-
সেরা খেলোয়াড় (গোল্ডেন বল): হামেস রদ্রিগেজ (৬ অ্যাসিস্ট ও ১ গোল)।
সর্বোচ্চ গোলদাতা (গোল্ডেন বুট): লাউতারো মার্তিনেজ (৫ গোল)।
সেরা গোলরক্ষক: এমিলিয়ানো মার্তিনেস (৫ ম্যাচ ক্লিনশিট)।
ফেয়ার প্লে অ্যাওয়ার্ড: কলম্বিয়া।