নিউজ ডেস্ক:
মহেন্দ্র সিং ধোনির অধিনায়কত্বেই ভারতীয় দলে এসেছিলেন বিরাট কোহলি। কুড়ি থেকে ফুল হয়ে ফুটেছিলেন তাঁরই অধীনে। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে সেই কোহলির অধিনায়কত্বে মাঠে নামবেন ধোনি। আগে টেস্টের অধিনায়কত্ব ছাড়লেও অবসর নেওয়ায় কোহলির অধীনে বড় সংস্করণে খেলা হয়নি তাঁর। এ যেন এক দিক বদলের শুরু। এমন একটা মুহূর্তে কোহলি যেন কিছুটা আপ্লুতও। তাঁর কণ্ঠে সাবেক অধিনায়কের প্রতি অগাধ শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা। নিজেই জানিয়েছেন, সীমিত ওভারের ক্রিকেটে সাবেক এই ভারতীয় অধিনায়ক অনেকবারই তাঁকে বাদ পড়ার হাত থেকে বাঁচিয়েছেন।
২০০৮ সালে ভারতীয় দলে অভিষেক কোহলির। ক্যারিয়ারের শুরুর দিনগুলোতে একেবারেই ধারাবাহিক ছিলেন না তিনি। দল নির্বাচনের সময় অনেকবারই তাঁকে বাদ দেওয়ার কথা ভেবেছেন নির্বাচকেরা। প্রতিবারই ধোনির জন্য তিনি টিকে গেছেন দলে। ধোনির কারণে ভারতীয় ক্রিকেটে নিজের অবস্থান শক্ত করতে পেরেছেন বলেই তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞতার শেষ নেই কোহলির, ‘মহেন্দ্র সিং ধোনি আমার ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে আমাকে দিক নির্দেশনা দিয়েছেন। আমাকে সুযোগ দিয়েছেন। ভালো ক্রিকেটার হিসেবে গড়ে উঠতে ধোনি আমাকে যথেষ্ট সময় দিয়েছেন। দল থেকে বাদ পড়া থেকে বাঁচিয়েছেন অনেকবারই।’
ধোনির উত্তরসূরি কোহলি। ব্যাপারটা তাঁর জন্য রোমাঞ্চেরই। টেস্টে ইতিমধ্যেই তাঁর কাছ থেকে অধিনায়কত্ব পেয়েছেন। কিন্তু সীমিত ওভারের ক্রিকেটের ব্যাপারটি ভিন্ন। সিনিয়র খেলোয়াড় হিসেবে যে খেলোয়াড় তাঁকে গড়ে তুলেছেন, তিনিই তাঁর অধীনে খেলবেন—ব্যাপারটি অন্যরকম অনুভূতিই জাগাচ্ছে কোহলির মনে। তবে এই অনুভূতিতে শ্রদ্ধার কোনো কমতিই নেই, ‘তাঁর জায়গা পূরণ করা বিরাট ব্যাপার। এমএস ধোনি নামটা নিলেই প্রথম আপনার মনে যে শব্দটি আসবে সেটি হলো—অধিনায়ক! তাঁকে অন্যভাবে ভাবাটা খুব কঠিন। আমার কাছে তিনি সব সময়ই অধিনায়ক।