নিজির্স প্রতিবেদকঃ
দর্শনার কেরু অ্যান্ড কোম্পানীর ডিস্টিলারি বিভাগ থেকে গায়েব হওয়া ৩০ লক্ষ টাকার ১৩ হাজার লিটার ডিএস (ডিনেচার স্পিরিটের) সন্ধানে মাঠে নেমেছে তিনটি তদন্ত কমিটির সদস্যরা। গতকাল সোমবার থেকে পৃথক ৩ টি তদন্ত কমিটি তাদের কার্যক্রম শুরু করেছে।
জানা গেছে, বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্যশিল্প করপোরেশনের তদন্ত কমিটির প্রধান বিক্রয় কর্মকর্তা জগলুল হক রানা, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তরের তদন্ত কমিটির প্রধান খুলনা বিভাগীয় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তরের যশোর অফিস প্রধান আসলাম হোসেন ও কেরু চিনিকলের তদন্ত কমিটির প্রধান চিনিকলের মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন) ইউসুফ আলি একযোগে সোমবার সকালে ডিস্টিলারির বিভিন্ন ভ্যাটে প্রবেশ করেন। এসময় কর্মচারী ও দায়িত্ব কর্মীদের পৃথক পৃথকভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন। এদিকে তদন্ত কর্মকর্তারা সাংবাদিকদের সাথে কোন কথা বলেননি।
উল্লেখ্য, গত দুমাস আগে ডিস্টিলারির বন্ডেড ওয়ার হাউজের সহকারি এজেন্ট জাহাঙ্গীর হোসেনকে অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে ডিএস (ডিনেচার স্পিরিট) এর ভ্যাটসহ দুটি ভ্যাটের দায়িত্ব দেয়া হয়। জাহাঙ্গীর হোসেন ডিস্টিলারি ডিএস (ডিনেচার স্পিরিট) ভ্যাটে স্পিরিটের হিসাবে গরমিল দেখে ব্যবস্থাপনা পরিচালক বরাবর একটি লিখিত আবেদনে জানান- ভ্যাটগুলোতে প্রায় ১৩ হাজার লিটার স্পিরিট কম রয়েছে। এজন্য দায়িত্ব গ্রহন করতে অপারগতা প্রকাশ করেন তিনি। পরে কেরুজ কর্তৃপক্ষ অপর সহকারি এজেন্ট সাজেদুর রহমান তুফানকে সমুদ্বয় মালামাল বুঝিয়ে দিয়ে দায়িত্ব প্রদান করেন। তারপর ২ মে থেকে ২৫ জুন পর্যন্ত সাজেদুর রহমান তুফান দায়িত্ব পালন করে আসছিল। এসময় আবারও মালামাল শর্টেজ দেখা যায় বলে হইচই পড়ে যায়। সরকারের কোটি টাকা রাজস্ব দেয়া দেশের বৃহত্তর এই চিনি শিল্প প্রতিষ্ঠানটি বারবার দুর্নীতি, অনিয়ম ও বিভিন্ন সময় এই ধরনের অঘটন ঘটেই চলেছে।
এ বিষয়টি নিয়ে দৈনিক আকাশ খবরসহ বিভিন্ন সংবাদপত্রে সংবাদ প্রকাশিত হলে কর্তৃপক্ষের টনক নড়ে।