নিউজ ডেস্ক:
সিলেটে শিবির ক্যাডারদের হামলায় গুরুতর আহত শাহিন আহমদের ডান হাত ও বাম হাতের কজ্বির উপরে কেটে ফেলা হয়েছে। মঙ্গলবার দিনগত রাতে অস্ত্রোপচার করে তার হাত কেটে ফেলা হয় বলে দলীয় সূত্রে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
জানা যায়, সিলেট নগরীর সোবহানীঘাট এলাকায় সোমবার দুপুরে সন্ত্রাসীদের হামলায় গুরুতর আহত ছাত্রলীগ কর্মী শাহীন আহমদ বর্তমানে ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। পঙ্গু হাসপাতাল ও ঢাকা হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের অধীনে তার চিকিৎসা চলছে বলে জানা গেছে। সেখানে শাহীন ডা. এনায়েতুল্লাহ, ডা. মাহবুব ও ডা. মামুনের অধীনে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
সোমবার রাতে ঢাকায় নেওয়ার পর শাহীনের একটি অস্ত্রোপচার করা হয়েছে। এতে গুরুতরভাবে আঘাতপ্রাপ্ত শাহীনের ডান হাতের কব্জি থেকে নিচের অংশ কেটে ফেলতে হয়েছে। ধারালো অস্ত্রের আঘাতে তার ডান হাত শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে সেটি জোড়া লাগানোর চেষ্টা করা হলেও তা সম্ভব হয়নি।
এদিকে অস্ত্রোপচারের পরেও শাহীন পুরোপুরি বিপদমুক্ত নন। এখনও তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। ধারালো অস্ত্রের কোপে গুরুতর জখম হওয়া শাহীনের বাম হাত ও এক পায়ের আঘাতপ্রাপ্ত স্থান জোড়া লাগানোর চেষ্টা চালানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
ঢাকায় শাহীনের সাথে অবস্থান করা তার স্বজন ডেভিড দেলওয়ার এসব তথ্য নিশ্চিত করে আরও জানান, শাহীন ঢাকা পঙ্গু হাসপাতাল এবং হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে ডা. এনায়েতুল্লাহ, ডা. মাহবুব ও ডা. মামুনের অধীনে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এখনও তার শারীরিক অবস্থার কোনো উন্নতি হয়নি বলে জানিয়েছেন ডাক্তাররা। শাহীনের চিকিৎসার ব্যপারে চিকিৎসকরা সর্বদা তৎপর রয়েছেন বলেও জানান তিনি।
এদিকে শাহীনের সুস্থতা কামনায় সকলের দোয়া কামনা করেছেন তার পরিবারের সদস্যরা।
সোমবার বেলা ১টার দিকে নগরীর সোবহানীঘাটে জালালাবাদ কলেজের সামনে মদন মোহন কলেজ ছাত্রলীগের কর্মী ও সিলেট সদর উপজেলার পীরপুর টুকেরবাজারের নূরুল আমিনের ছেলে শাহীন আহমদ (২২) এবং জালালাবাদ কলেজের ছাত্র উপশহরের জালাল উদ্দিনের ছেলে ছাত্রলীগকর্মী আবুল কালাম আসিফকে (১৮) ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করা হয়। গুরুতর আহত শাহীনকে সোমবার বিকেলেই ঢাকায় প্রেরণ করা হয়। শিবির ক্যাডাররা এ হামলা চালিয়েছে বলে দাবি ছাত্রলীগের।