বুধবার, ফেব্রুয়ারি ১২, ২০২৫
বুধবার, ফেব্রুয়ারি ১২, ২০২৫

কিছু শিক্ষক টাকার বিনিময়ে প্রশ্ন ফাঁস করছে: শিক্ষামন্ত্রী !

নিউজ ডেস্ক:

প্রশ্ন ফাঁসের সঙ্গে কিছু শিক্ষক ও অভিভাবক জড়িত বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।

তিনি বলেন, কিছু শিক্ষক টাকার বিনিময়ে পরীক্ষার আগের রাতে প্রশ্ন ফাঁস করে শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেন। এর সঙ্গে কিছু অভিভাবকও জড়িত। এই শিক্ষক ও অভিভাবকরা চুরি করে প্রশ্ন ফাঁস করে শিক্ষার্থীকে জিপিএ-৫ পেতে সহযোগিতা করছে। উপযুক্ত তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) আয়োজিত স্বাধীনতা যুদ্ধের দলিলপত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।

শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা এবং কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের সঙ্গে জড়িত সব অফিসারদের দুর্নীতিমুক্ত থাকার নির্দেশ দেন মন্ত্রী।

দুর্নীতি করলে কেউ রেহাই পাবে না’ বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আমার কাছে খরব আছে শিক্ষা খাতে কিছু অফিসার দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত। আমি এই খাতের দুর্নীতি জিরো টলারেন্সে নিয়ে আসেতে চায়।

মাউশির মহাপরিচালকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, কিছু জায়গায় দুর্নীতি হচ্ছে। এই জায়গা দুর্নীতিমুক্ত করতে হবে। তার জন্য কী ধরনের পদক্ষেপ দরকার তা নেন। আমার কাছে কোনো দুর্নীতিগ্রস্ত লোক ছাড় পাবে না।

মন্ত্রী বলেন, দুর্নীতি বন্ধে সবার বেতন দ্বিগুণ করেছি। তারপরও কেন দুর্নীতি করবে?

তথাকথিত মধ্যবিত্তরা নিজেদের ছেলেমেয়েদের সরকারি স্কুলে না পড়িয়ে কিন্ডারগার্টেন এবং ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলে পড়ান উল্লেখ করে নাহিদ বলেন, এসব ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানগুলোতে গিয়ে লোকজন প্রতারিত হচ্ছে। এরা মানুষের কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা নিচ্ছে। আপনারা এদের চিহ্নিত করুন। আমরা এদের নীতিমালার আওতায় আনার চেষ্টা করছি।

জেএসসি-জেডএসসি, এসএসসি, এইচএসসি পরীক্ষায় বছরের বেশ কিছু সময় চলে যায়। সেজন্য পরীক্ষা কমিয়ে আনার কথা ভাবছে সরকার। এ লক্ষ্যে মন্ত্রণালয় কাজ করছে বলে জানান মন্ত্রী।

মাউশির মহাপরিচালক ড. এসএম ওয়াহিদুজ্জামানের সভাপতিত্বে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের দলিলপত্র বিতরণ, শিক্ষা প্রশাসনের মাঠপর্যায়ে কর্মরত কর্মকর্তাদের মধ্যে মোটরসাইকেল এবং ল্যাপটপ বিতরণ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন-শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দুই বিভাগের সচিব মো. সোহরাব হোসাইন এবং মো. আলমগীর।

দুর্নীতিমুক্ত গতিশীল শিক্ষাখাত গড়ে তুলতে মাউশির আঞ্চলিক, জেলা এবং উপজেলা পর্যায়ের অফিসারদের এক হাজার ৩৪টি ল্যাপটপ, ৬৪০টি মোটরসাইকেল দেওয়া হয়।

একই সঙ্গে ৩৪ হাজার৬৬৬টি মুক্তিযুদ্ধের দলিলপত্র বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দেওয়া হয়। এর উদ্দেশ্য আগামী প্রজন্ম দেশ ও মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জানতে পারবে।

Similar Articles

Advertismentspot_img

Most Popular