নিউজ ডেস্ক:সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার কেজাউরা গ্রামে কান, পুরুষাঙ্গ ও পেটে দুই ছুরি ঢুকিয়ে শিশুকে হত্যার ঘটনায় বাবা, চাচাসহ ৭ স্বজনকে আটক করেছে পুলিশ। শিশুটির তার দুই কান ও গোপনাঙ্গ কেটে নেওয়া হয়েছে। পরে পাঁচ বছর বয়সী ওই শিশুর নিথর দেহ ঝুলিয়ে রাখা হয় কদম গাছের ডালে। নিহত তুহিন উপজেলার রাজানগর ইউনিয়নের গচিয়া কেজাউড়া গ্রামের বাছির মিয়ার ছেলে। আটকরা হলেন- শিশু তুহিনের বাবা আব্দুল বাছির, চাচা আব্দুল মছব্বির, জমশেদ মিয়া, নাসির মিয়া ও জাকিরুল। আটক করা হয়েছে তুহিনের চাচি ও চাচাতো বোনকেও। গতকাল সোমবার সকালে দিরাইয়ে একটি গাছে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় শিশু তুহিনের লাশ। তার পেটের মধ্যে ঢুকানো ছিল দুটি ছুরি। ডান হাতটি গলায় বাধা রশির ভেতরে ঢুকানো ছিল। বাম হাতটি ঝুলে ছিল দেহের সঙ্গে। কেটে নেওয়া হয়েছে শিশুটির কান ও গোপনাঙ্গ। আর তার পুরো শরীর ভিজে আছে রক্তে। এমন বর্বর-নৃশংসতায় শিশু তুহিনকে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। হত্যার পরে তার মরদেহ গাছের সঙ্গে ঝুলিয়ে রেখে যায় দুর্বৃত্তরা। গতকাল সকাল ১০টার দিকে খবর পেয়ে পুলিশ তার মরদেহ উদ্ধার করে দুপুরে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। সুনামগঞ্জের পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে গণমাধ্যমকে বলেন, আটক সাতজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে সন্দেহজনক কিছু মনে না হলে তাদের ছেড়ে দেয়া হবে।