নিউজ ডেস্ক:
শৈত্যপ্রবাহের কারণে ঘন কুয়াশায় ছেয়ে আছে দেশ। কনকনে ঠাণ্ডা, ঘন কুয়াশার সঙ্গে যোগ হয়েছে শীতল বাতাস। সবমিলিয়ে তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় শীতে কাঁপছে দেশবাসী। দেশের ছয় বিভাগের ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে মৃদু থেকে মাঝারি এই শৈত্যপ্রবাহ। ফলে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নেমেছে সাড়ে ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। আগামী সাতদিন দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে এ পরিস্থিতি বিরাজ করবে। এতে দেশের কোথাও কোথাও দুপুর পর্যন্ত সূর্যের দেখা মিলবে না।
আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছে, পাবনা, চুয়াডাঙ্গা, দিনাজপুর, সৈয়দপুর, নওগাঁ দিয়ে শৈত্যপ্রবাহ চলমান রয়েছে। উত্তর দিক থেকে বাতাস প্রবাহিত হওয়ায় রাতের তাপমাত্রা আরও কমবে। একই পরিস্থিতি বিরাজ করবে রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা বিভাগেও। শৈত্যপ্রবাহের কারণে সারা দেশের তাপমাত্রা ১-৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমবে।
উপমহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয় পশ্চিমবঙ্গ পর্যন্ত বিস্তৃত হওয়ায় বাংলাদেশে শীত বেড়েছে বলেও জানায় আবহাওয়া অধিদফতর।
এর আগে, বৃহস্পতিবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল চুয়াডাঙ্গায় ৬ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস; চলতি শীত মৌসুমে এটাই সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।
এছাড়া ঢাকায় থার্মোমিটারের পারদ এদিন ১০ দশমিক ৫, রংপুরে ৯, দিনাজপুরে ৮ দশমিক ৯, শ্রীমঙ্গলে ৮ দশমিক ৬, টাঙ্গাইলে ৮ দশমিক ৫, গোপালগঞ্জে ৮ দশমিক ৪, ময়মনসিংহে ৮, যশোরে ৭ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমেছে।
দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে খুলনার মোংলায়, ২৮.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এর আগে, আবহাওয়া অধিদফতরের জানুয়ারির পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, এ মাসে দেশের উত্তরাঞ্চল ও মধ্যাঞ্চলে একটি মাঝারি, বা তীব্র ধরনের শৈত্যপ্রবাহ এবং অন্য জায়গায় ২-৩টি মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে।