নিউজ ডেস্ক:
একেকজন রেলমন্ত্রীর দায়িত্ব নেন, কলকাতায় আসেন, আর মেট্রোর ভাড়া শুনে অবাক হন।
সোমবার সকালে কলকাতায় পা রেখেছিলেন বর্তমান রেলমন্ত্রী পীযূষ গয়াল। মেট্রো কর্তাদের সঙ্গে আলোচনার সময় সাধারণ এবং এসি রেকে ন্যূনতম যাত্রী ভাড়া একই (পাঁচ টাকা) শুনে বিস্ময় প্রকাশ করেন তিনিও। তবে ভাড়া বাড়বে কি না, সে প্রসঙ্গে একটি কথাও বলেননি রেলমন্ত্রী।
রেলের আর্থিক অবস্থা ভাল নয়। কলকাতা মেট্রোর আয়ের চেয়ে ব্যয় অনেক বেশি (১ টাকা আয় করতে গেলে ৩ টাকা খরচ)। এমন অবস্থায় রেলমন্ত্রী ভাড়া বাড়ানোর বিষয়ে কিছু না বললেও, জানিয়েছেন বিকল্প আয় বাড়াতে হবে। স্টেশনে বিজ্ঞাপনের ব্যবহার, ফুড স্টল বাড়ানো, পড়ে থাকা জমি কী উপায়ে বাণিজ্যিক ভাবে ব্যবহার করা যায় তা নিয়ে চিন্তাভাবনা করার কথা বলেছেন তিনি।
রেল কর্তারা জানাচ্ছেন, রেলের নিয়ম অনুযায়ী সাধারণ এবং এসি রেকের ভাড়া কখনও এক হতে পারে না। কলকাতা মেট্রোয় যেহেতু রেকের সংখ্যা কম, তাই দু’ধরনের রেক মিলেমিশে চালাতে গিয়ে আলাদা ভাড়া করা সম্ভব হয়নি। যখন সব রেকই এসি করা যাবে তখন ভাড়াও আলাদা করা অনেক সহজ হবে।
রেলমন্ত্রী এদিন আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে মন্ত্রকের মনোভাব স্পষ্ট করে দিয়েছেন। তাঁর মনোভাব, যে মেট্রো প্রকল্পগুলি জমি জটে আটকে, সেগুলির ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ জমি হাতে না এলে প্রকল্পগুলিতে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হবে না। রেলকর্তাদের বক্তব্য, মন্ত্রী জানান, যেহেতু ইস্ট-ওয়েস্ট প্রকল্পের সমস্ত জমিই পাওয়া গিয়েছে তাই ওই প্রকল্পের কাজ গুরুত্ব দিয়ে আগেভাগেই শেষ করতে হবে।
প্রসঙ্গত, জোকা-বি বা দী বাগ, দক্ষিণেশ্বর-ব্যারাকপুর এবং নোয়াপাড়া-বারাসত মেট্রো প্রকল্পগুলির জন্য প্রয়োজনীয় জমি এখনও পর্যন্ত হাতে পাননি মেট্রো কর্তৃপক্ষ।