বিপ্লব নাথ (চট্টগ্রাম): কক্সবাজার জেলার টকনাফের শাহপরীরদ্বীপ হতে আরো ১৯ রোহিঙ্গার মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ৩১ আগস্ট বৃহস্পতিবার ভোরে শাহপরীরদ্বীপ বড় খাল পয়েন্ট এসব মৃত দেহ উদ্ধার করে স্থানীয়রা। এদের মধ্যে ৯ জন নারী ও ১০ জন শিশু বলে জানিয়েছে বিজিবি। ২ বিজিবি ব্যাটালিয়ন কমান্ডার লে. কর্ণেল এস এম আরিফুল ইসলাম সংবাদেও সত্যতা নিশ্চিত করেন। এর আগে গত মঙ্গলবার ভোরে ও রাতে শাহপরীরদ্বীপ পয়েন্টে আরো দুটি নৌকা ডুবির ঘটনায় ৪ রোহিঙ্গা নারী-শিশুর লাশ উদ্ধার করা হয়।।
জানাযায়, বৃহস্পতিবার ভোরে শাহপরীর দ্বীপ পশ্চিম সমুদ্র সৈকত এলাকা থেকে ১৯ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গত রাতে রোহিঙ্গা বোঝাই নৌকাটি ঢেউয়ের কবলে পড়ে ডুবে যায় বলে ধারণা করা হচ্ছে। সকালে স্থানীয় লোকজন শাহপরীর দ্বীপ পশ্চিম সৈকত থেকে এদের লাশ উদ্ধার করেছে। । এছাড়া অনেকে নিখোঁজ রয়েছে বলে ধারনা করা হচ্ছে। স্থানীয়রা জানান, ডুবে যাওয়া নৌকাটি রোহিঙ্গা লোকজন নিয়ে আসে। তবে অন্য রোহিঙ্গাদের ভাগ্যে কি ঘটেছে বলা যাচ্ছে না। এদিকে লাশ উদ্ধারের খবর পেয়ে থানা পুলিশের একটি টিম শাহপরীর দ্বীপ সৈকত এলাকা থেকে লাশ উদ্ধার করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচেছ বলে জানায় টেকনাফ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাইন উদ্দীন খান।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শাহপরীরদ্বীপের পাচার চক্র সাগরে মাছ ধরার ইঞ্জিন চালিত নৌকা ভাড়া করে রাতের আধারে মিয়ানমার থেকে রোহিঙ্গাদের নিয়ে আসছে। বুধবার রাত থেকে বৃহস্পতিবার ভোরে ১৫/২০টি নৌকা মাছ ধরার বাহানা দিয়ে রোহিঙ্গা আনতে সাগরে পাড়ি জমায়। এসব নৌকা রোহিঙ্গা বোঝাই করে আসার পথে সাগরের কূলে ভিড়ানোর সময় ঢেউয়ের আঘাতে ডুবে গিয়ে এ ঘটনা ঘটছে বলে এমনটি ধারনা করছেন স্থানীয়রা। তবে পাচারকারী এরা কারা, এদের খোঁজে বের করে আইনের আওতায় নিয়ে আসার আহবান জানায় এলাকাবাসী।
এদিকে গেল রাত ও ভোরে শাহপরীর দ্বীপের বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে এক হাজারের মতো রোহিঙ্গা মুসলিমের অনুপ্রবেশের ঘটনা ঘটেছে। গত মঙ্গলবার বিজিবি’র হেফাজতে থাকা ৩১৯ জন রোহিঙ্গার মধ্যে ১৯০ জনকে ফেরত পাঠিয়েছে বলে জানিয়েছেন বিজিবি কর্মকর্তা লে. কর্ণেল আরিফুল ইসলাম । তিনি বলেন, শুধু শাহপরীরদ্বীপের কয়েন্ট পয়েন্ট দিয়ে রাতে এক হাজারেরও বেশী রোহিঙ্গার অনুপ্রবেশ করেছে। এসব রোহিঙ্গারা বিজিবি হেফাজতে রয়েছে বলেও জানান ওই কর্মকর্তা।