নিউজ ডেস্ক: দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজটা মোটেও ভালো যায়নি বাংলাদেশের। টেস্ট, ওয়ানডে, টি-টোয়েন্টি- সব সিরিজেই ভরাডুবি ঘটে। তবে ঘরের মাঠে ত্রিদেশীয় সিরিজটা দুর্দান্তভাবে শুরু হয় টাইগারদের। মাঝ পথে হঠাৎই পথ হারিয়ে বসেন তারা। এর খেসারত হিসেবে সিরিজ খোয়াতে হয় তাদের। পরে ব্যর্থতার সাগরে ডুবতে হয় টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি সিরিজেও।
ওই দুই সিরিজের ব্যর্থতা কাটিয়ে উঠতে নিদাহাস ট্রফিকে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে দেখছেন বাংলাদেশ উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহিম।
গতকাল ছিল তিন জাতি টি-টোয়েন্টি সিরিজের ফাইনাল। যেখানে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ ছিল ভারত। তবে ফের একই দৃশ্য। ফের রচিত স্বপ্নভঙ্গের গল্প। খুব কাছে গিয়েও স্বপ্ন ছুঁতে পারেননি টাইগাররা। এক দিনেশ কার্তিকের কাছেই ধূলিসাৎ হয়ে গেছে সব।
কিন্তু একে ইতিবাচক হিসেবেই দেখছেন মুশফিক, ‘আমরা দক্ষিণ আফ্রিকা ও ঘরে ভালো খেলতে পারিনি। সেই তুলনায় এখানে ভালো করেছি। ওই দুই সিরিজের ব্যর্থতা কাটিয়ে উঠতে নিদাহাস ট্রফি বড় নিয়ামক। গোটা টুর্নামেন্টে আমরা দুর্দান্ত খেলেছি। তাই ফাইনালে ভারতের বিপক্ষে হার থেকে শিক্ষা নিয়ে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে।’
নিজেদের প্রথম ম্যাচে ভারতের কাছে হার দিয়ে নিদাহাস ট্রফি মিশন শুরু হয় বাংলাদেশের। তবে পরের গল্পটা রূপকথার মতো। পরের ম্যাচে রেকর্ড গড়ে লংকা জয় করে টাইগাররা। তৃতীয় ম্যাচে ভারতের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে হারে। শেষটাতে নাটকীয়ভাবে শ্রীলংকাকে হারিয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করে। আর ফাইনালে শিরোপা ছুঁই ছুঁই করেও স্বপ্নভঙ্গ হয়।
টুর্নামেন্টে বাংলাদেশের সেরা ব্যাটার বলেন, ‘প্রথম ম্যাচ ছাড়া বাকি সব ম্যাচেই ধারাবাহিকভাবে ভালো খেলেছি আমরা। টি-টোয়েন্টিতে কখনই এতটা ভালো করিনি। দুই ম্যাচে দুর্দান্ত জয় পেয়েছি। হারা দুই ম্যাচের একটিতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছি।’
তিনি মনে করেন, এবারই প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ধারাবাহিকভাবে ভালো ক্রিকেট উপহার দিয়েছে বাংলাদেশ।
টুর্নামেন্টে ব্যাটসম্যানরা ভালো করলেও বোলাররা খুব একটা ভালো করতে পারেননি। তাদের কী করতে হবে তাও বাতলে দিয়েছেন মুশফিক, ‘ব্যাটসম্যানরা সাধ্যমতো চেষ্টা করেছে। তবে আমাদের বোলারদের কিছু ঘাটতি ছিল। প্রথম ৬ ওভার ও ডেথ ওভার নিয়ে তাদের কাজ করতে হবে।’
শেষ পর্যন্ত টি-টোয়েন্টিতে অজেয় হয়ে থাকল ভারত। এ নিয়ে আটবারের দেখায় প্রতিবারই পরাজয়ের মালা পরতে হল টাইগারদের। তিনি বলেন, ‘ভারতকে হারানোর সুযোগ সবসময় আসে না। বেঙ্গালুরুতে এসেছিল। এর পর আবার আমরা সুযোগ হাতছাড়া করলাম। তবে এ হার থেকে শিক্ষা নিয়ে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। যাতে পরবর্তীতে পুনরাবৃত্তি না ঘটে।’