নিউজ ডেস্ক:
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নরওয়ের সঙ্গে বিদ্যমান চমৎকার সম্পর্কে সন্তোষ প্রকাশ করে এসডিজি বাস্তবায়নে দুই দেশের একসঙ্গে কাজ করার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন।
নওয়ের নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূত সিডসেল ব্লেকেন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তার তেজগাঁও কার্যালয়ে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে গেলে শেখ হাসিনা একথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূতকে বাংলাদেশে দায়িত্ব পালনকালে সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, বৈঠকে জলবায়ু পরিবর্তন এবং বাণিজ্য ও জ্বালানিসহ বিভিন্ন খাতে দু’দেশের মধ্যকার সহযোগিতা জোরদারের পন্থা নিয়ে আলোচনা হয়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে নরওয়ের বিনিয়োগকে স্বাগত জানাবে। নরওয়ে মৎস্য, ওষুধ, চামড়াজাত পণ্য, জাহাজ নির্মাণ খাতেও বিনিয়োগ করতে পারে। এছাড়া জ্বালানি খাত ও সমুদ্র ভূতাত্ত্বিক জরিপে সহযোগিতাকেও স্বাগত জানাবে বাংলাদেশ।
এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশের বনায়ন, উপকূলীয় অঞ্চলে সবুজ বেস্টনি গড়ে তোলা ও অন্যান্য কার্বন নিস্ক্রিয়করণ প্রকল্পের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার দেশ নিজস্ব অর্থায়নে জলবায়ু পরিবর্তন কর্মসূচি শুরু করেছে এবং সব উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে পরিবেশ ইস্যুকে অগ্রাধিকার দেয়া হয়েছে।
নরওয়ের রাষ্ট্রদূত বলেন, তার দৃষ্টিতে বাংলাদেশ খুবই আকর্ষণীয় একটি দেশ। তিনি দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য সহযোগিতা সম্প্রসারণে গুরুত্বারোপ করেন।
মিজ ব্লেকেন বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির প্রশংসা করে বলেন, এটি বাংলাদেশের ভবিষ্যতের জন্য সুলক্ষণ।তিনি আরও বলেন, ২০১২ থেকে ২০১৫ সালের মধ্যে নরওয়েতে বাংলাদেশের রফতানি ৬০ শতাংশ বেড়েছে।
এমডিজি অর্জনে বাংলাদেশের প্রশংসা করে রাষ্ট্রদূত বলেন, এসডিজি বাস্তবায়নে দেশটি উৎসাহব্যঞ্জক সাফল্যের স্বাক্ষর রাখবে।নরওয়ে বাংলাদেশের জ্বালানি খাতে কাজ করতে আগ্রহী এ কথা উল্লেখ করে তিনি জলবায়ু পরিবর্তন ইস্যুতে এক সঙ্গে কাজ করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।