নিউজ ডেস্ক:
পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, সরকার দেশের ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের বিকাশের লক্ষ্যে এসইজেড এবং ইপিজেড এলাকার কাছাকাছি স্থানে বিসিক শিল্পনগরী করার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।
গতকাল রোববার বিকেলে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে পরিকল্পনামন্ত্রীর নিজ কার্যালয়ে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) সভাপতি আবুল কাসেম খানের নেতৃত্বে ডিসিসিআই’র পরিচালনা পর্ষদের সদস্যদের সাক্ষাৎকালে তিনি এ কথা বলেন।
পরিকল্পনামন্ত্রী মুস্তফা কামাল বলেন, যত্রতত্র শিল্প-কারখানা স্থাপন না করে বিশেষায়িত শিল্প এলাকায় কল-কারখানা স্থাপন করতে হবে।
তিনি বলেন, আগামী দুই থেকে তিন বছরের মধ্যে বিদ্যুৎ সমস্যার সমাধান হবে এবং শিল্প-কারখানার পাশাপাশি বসতবাড়িতে চাহিদামাফিক বিদ্যুৎ সংযোগ প্রদান করা যাবে, যার মাধ্যমে বিদেশি বিনিয়োগের পাশাপাশি দেশি বিনিয়োগ বৃদ্ধি পাবে।
তিনি আরো বলেন, সরকার জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতে দেশি বিনিয়োগের পাশাপাশি বিদেশি বিনিয়োগকেও উৎসাহিত করছে।
বর্তমান অর্থবছরে প্রাক্কলিত জিডিপির হার ৭ দশমিক ২ শতাংশ অর্জন সম্ভব হবে এবং সেটি ৭ দশমিক ২৫ শতাংশ থেকে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ পর্যন্ত অর্জিত হতে পারে।
মন্ত্রী বলেন, অর্থবছরের এ সময়কাল পর্যন্ত প্রায় ৪০ হাজার কোটি টাকার এডিপি বাস্তবায়িত হয়েছে।
সাক্ষাৎকালে ডিসিসিআই সভাপতি আবুল কাসেম খান বলেন, পরিকল্পনামন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি সপ্তম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় ৮ শতাংশ হারে প্রবৃদ্ধি অর্জন ও ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করার লক্ষ্যে কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং মানবসম্পদের দক্ষতা বৃদ্ধির বিষয়সমূহকে গুরুত্বারোপের জন্য।
তিনি বেসরকারিখাতের বিনিয়োগের পরিমাণ ২২ শতাংশ থেকে ২৯ শতাংশে উন্নীত করার পাশাপাশি অবকাঠামো উন্নয়ন, জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ এবং দক্ষ মানবসম্পদ তৈরির জন্য কার্যকর পরিকল্পনা প্রণয়নের আহ্বান জানান।
ঢাকা চেম্বারের সভাপতি জানান, বর্তমানে বাংলাদেশ অবকাঠামো, জ্বালানি ও যোগাযোগ খাতে প্রতিবছর প্রায় ৬ দশমিক ৩২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করছে, যা জিডিপির ২ দশমিক ৮৭ শতাংশ। তবে ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশের অবকাঠামো খাতে ৩২০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বিনিয়োগ প্রয়োজন, যা জিডিপির ৫ শতাংশে এবং এ লক্ষ্যে খাতভিত্তিক শিল্পে যথাযথ পরিকল্পনা প্রণয়নের পাশাপাশি নির্ধারিত সময়ে উন্নয়ন কর্মকাণ্ড বাস্তবায়নের ওপর জোর দেন।
তিনি এসইজেড এবং ইপিজেডগুলোর কার্যক্রম দ্রুত চালুর জন্য অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে সব ধরনের সেবা সংযোগ প্রদানের পাশাপাশি দেশি ও বিদেশি উদ্যোক্তাদের জন্য সমান সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিতরণের ওপর জোর দেন।
তিনি আরো বলেন, ঢাকা-চট্টগ্রাম ইকোনোমিক করিডোরকে কার্যকর করার জন্য একটি দীর্ঘমেয়াদি মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়ন একান্ত অপরিহার্য। ব্লু ইকোনোমির অপার সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর পাশাপাশি সমুদ্র এলাকায় গ্যাস অনুসন্ধান এবং কোস্টাল ট্যুরিজম প্রবর্তনের আহ্বান জানান।
পরিকল্পনা বিভাগের সচিব মো. জিয়াউল ইসলামসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, ডিসিসিআই’র সহ-সভাপতি কামরুল ইসলাম, সহ-সভাপতি হোসেন এ সিকদার, পরিচালক ইঞ্জি. আকবর হাকিম, হুমায়ুন রশিদ, ইমরান আহমেদ মহাসচিব এএইচএম রেজাউল কবির এ সময় উপস্থিত ছিলেন।