পঞ্চগড় প্রতিনিধি:
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরে (এলজিইডি) জ্যেষ্ঠতার তালিকায় তিনজন সিনিয়র প্রকৌশলীকে পেছনে ফেলে প্রধান প্রকৌশলী পদে মো: আব্দুল রশীদ মিয়ার পদায়ন নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে অসন্তোষ এবং হতাশা। ৪ ফেব্রুয়ারি স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের উন্নয়ন শাখা-১ থেকে প্রকাশিত একটি প্রজ্ঞাপনে তাকে প্রধান প্রকৌশলী হিসেবে পদায়ন করা হয়।
এ প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়, মো: আব্দুল রশীদ মিয়া, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী (গ্রেড-৩), মানবসম্পদ উন্নয়ন, মান নিয়ন্ত্রণ ও পরিবেশ ইউনিট, জ্যেষ্ঠতার ক্রমানুসারে ১৯৮ নং পদের অধিকারী হলেও তাকে প্রধান প্রকৌশলীর (চলতি) দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। তবে, এই পদায়নের মাধ্যমে এলজিইডির যে তিনজন সিনিয়র প্রকৌশলী বঞ্চিত হয়েছেন, তাদের মধ্যে রয়েছে শেখ মুজাক্কা জাহের, কে. এম. জুলফিকার আলী এবং মো: এনামুল হক। তারা সবাই আগামী কিছুদিনের মধ্যে অবসরে যাবেন।
এ পদায়নের ফলে, এলজিইডির শীর্ষস্থানীয় প্রকৌশলীরা শঙ্কা প্রকাশ করেছেন যে, এই ধরনের পদায়ন ভবিষ্যতে কর্মীদের মধ্যে অনাগ্রহ এবং শৃঙ্খলা ভঙ্গের কারণ হতে পারে। অনেক প্রকৌশলী মন্তব্য করেছেন, ‘এটি এলজিইডির জন্য একটি কলঙ্কিত অধ্যায়’। তাঁদের মতে, যদি জ্যেষ্ঠতার লঙ্ঘন চলতে থাকে, তবে অধিদপ্তরের স্বাভাবিক কাজকর্মে বিঘ্ন ঘটবে এবং কর্মপরিবেশে অস্থিরতা সৃষ্টি হবে।
এছাড়া, সদ্য অবসরে যাওয়া প্রধান প্রকৌশলী গোপাল কৃষ্ণ দেবনাথকে রুটিন দায়িত্ব দিয়ে কাজ চালিয়ে যাওয়া এবং মো: আব্দুল রশীদ মিয়া কে প্রধান প্রকৌশলী পদে পদায়নের বিষয়টিও সমালোচিত হয়েছে। একাধিক প্রকৌশলী দাবি করেছেন যে, বঙ্গবন্ধু প্রকৌশল পরিষদের যুগ্ম আহবায়ক পদে থাকা অবস্থায় একজন কর্মকর্তার এই পদে আসা প্রকৌশলীদের মধ্যে আরও ক্ষোভ সৃষ্টি করতে পারে।
তবে, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের সূত্র থেকে জানা গেছে, তাদের দৃষ্টি ছিল এলজিইডির কর্মকাণ্ডের স্থিতি এবং গতিশীলতা বৃদ্ধি করা, যার জন্য নীতিনির্ধারণী মহলের পরামর্শে রাষ্ট্র ও জনস্বার্থে এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।