নিউজ ডেস্ক:
এমবিবিএস কোর্সে ভর্তি পরীক্ষায় দ্বিতীয়বার অংশ নেওয়া পরীক্ষার্থীদের প্রাপ্ত নম্বর থেকে পাঁচ নম্বর কেটে মেধাতালিকা তৈরি করার সরকারি সিদ্ধান্তের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে দাখিল করা রিট আবেদনের শুনানি ১১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মুলতবি করা হয়েছে।
অ্যাটর্নি জেনারেলের সময়ের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. জাহাঙ্গীর হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম চীন সফরে যাবেন- এ কথা জানিয়ে সময়ের আবেদন করেন। এ সময় রিট আবেদনকারী সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ড. ইউনুছ আলী আকন্দ উপস্থিত ছিলেন।
রিট আবেদনে স্বাস্থ্য সচিব, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, পরিচালক (চিকিৎসা শিক্ষা ও স্বাস্থ্য জনশক্তি উন্নয়ন), বাংলাদেশ মেডিক্যাল ও ডেন্টাল কাউন্সিলের (বিএমডিসি) চেয়ারম্যানকে বিবাদী করা হয়েছে।
রিট আবেদনে বলা হয়, গত ২১ আগস্টের পত্রিকায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। এ বিজ্ঞপ্তির ৬ নম্বর কলামে বলা হয়, ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষে এমবিবিএস/বিডিএস ভর্তি পরীক্ষায় আগের বছর এইচএসসি উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীদের সর্বমোট নম্বর থেকে ৫ নম্বর কর্তন করে মেধাতালিকা তৈরি করা হবে। অন্যদের কাটা হবে না। এ সিদ্ধান্ত বৈষম্যমূলক। এ সিদ্ধান্ত সংবিধানের ৭, ২৬, ২৭, ২৮ ও ৩১ অনুচ্ছেদ পরিপন্থী।
রিট আবেদনে বলা হয়, জাতীয় শিক্ষানীতি ২০১০-এর চিকিৎসা সেবা ও স্বাস্থ্য কৌশল চ্যাপ্টারের এক নম্বর অনুচ্ছেদে উল্লেখ আছে, মেডিক্যাল কলেজে ভর্তির জন্য উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা শেষে ভর্তি পরীক্ষা নেওয়া অব্যাহত থাকবে। ভর্তি পরীক্ষায় কোনো প্রার্থী দুই বছরের জন্য অংশগ্রহণের সুযোগ পাবে। সুতরাং সরকার আগের বছর পাস করাদের থেকে ৫ নম্বর কেটে নেওয়ার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তা শিক্ষনীতির পরিপন্থী।