নিউজ ডেস্ক:
বন্ধু সালমান খানের দেখানো পথেই হাঁটলেন শাহরুখ খান। সাফল্যের ফল পেলে, ব্যর্থতার দায়ও নিতে হয় এই মন্ত্রে উজ্জীবীত হয়ে। শাহরুখও ‘জব হ্যারি মেট সেজল’-এর ব্যর্থতার দায় নিজের কাঁধে তুলে নিলেন তিনি। টাকা ফেরত দিলেন ডিস্ট্রিবিউটরদের।
চলতি বছরের আগস্ট মাসে মুক্তি পেয়েছিল শাহরুখ-অানুশকা জুটির এই ছবি। পরিচালক ছিলেন ইমতিয়াজ আলি। কিন্তু এত বড় বড় নামও বাঁচাতে পারেনি সে ছবিকে। কিং খানের যে কোনও ছবি রিলিজ হলে যেখানে ন্যূনতম ১০০ কোটি টাকার ব্যবসার প্রত্যাশা নিয়ে বসে থাকেন ডিস্ট্রিবিউটররা, সেখানে এ ছবি মাত্র ৬৪.৩৩ কোটি টাকার ব্যবসা করেছে।
কেবল অভিনেতা নন ‘জব হ্যারি মেট সেজল’-এর প্রযোজক পরোক্ষভাবে শাহরুখই। স্ত্রী গৌরীর নামে এ ছবি প্রযোজনা করেছেন তিনি। তাই ব্যর্থতার দায় নিলেন বাদশা।
শোনা গেছে, সারা দেশে ছবিটি ডিস্ট্রিবিউটের সিংহভাগই ছিল এনএইচ স্টুডিওর দায়িত্বে। যাদের পনেরো শতাংশ টাকা ফিরিয়ে দিয়েছেন শাহরুখ। এছাড়া যাঁরা ডিস্ট্রিবিউটরের দায়িত্বে ছিলেন তাদেরও প্রত্যেককে ৩০ শতাংশ টাকা ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। মুক্তির পর থেকেই নাকি শাহরুখের কাছে অভিযোগ জানাচ্ছিলেন ডিস্ট্রিবিউটররা। প্রত্যেকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবি জানাচ্ছিলেন। সেই দাবি মেনে নিলেন কিং খান। টাকা ফিরিয়ে দিলেন তিনি।
কিছুদিন আগেই একই পরিস্থিতিতে পড়েন শাহরুখের বন্ধু সালমানও। বক্স অফিসে আরও বাজেভাবে মুখ থুবড়ে পড়েছিল তাঁর ‘টিউবলাইট’। ছবির ভরাডুবির দায় নিজের ঘাড়ে নিয়ে ডিস্ট্রিবিউটরদের ক্ষতিপূরণ দেন বলিউডের সুলতান।
গ্যালাক্সিতেই ছবির ডিস্ট্রিবিউটরদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন সালমান ও তাঁর বাবা সেলিম খান। বৈঠকের পর প্রায় ৫০ থেকে ৫৫ কোটি টাকা ডিস্ট্রিবিউটরদের তুলে দেওয়া হয় ছবি না চলার ক্ষতিপূরণ হিসেবে। শাহরুখও তেমনটাই করলেন।
এদিকে দুই খানের ছবিই বক্স অফিসে এই ভুরাডুবিকে ভাল নজরে দেখছেন না সিনে-বিশেষজ্ঞরা। তাহলে কী দর্শকদের কাছে খানদের গ্রহণযোগ্যতা শেষ হয়ে যাচ্ছে? বলিউডে কি পরবর্তী প্রজন্মের সময় শুরু হয়ে গিয়েছে? এই প্রশ্নই তুলেছেন অনেকে।