বুধবার, ফেব্রুয়ারি ১২, ২০২৫
বুধবার, ফেব্রুয়ারি ১২, ২০২৫

এবারও প্যারেড কমান্ডার শামছুন্নাহার !

নিউজ ডেস্ক:

অপরাধ নিয়ন্ত্রণ, দক্ষতা, কর্তব্যনিষ্ঠা ও সততার পুরস্কার পেলেন চাঁদপুরের পুলিশ সুপার শামছুন্নাহার। এ বছর পুলিশ সপ্তাহে তার হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে পুলিশের সর্বোচ্চ পদক প্রেসিডেন্ট পুলিশ মেডেল (পিপিএম)। একইসঙ্গে গতবছরের মতো এবারো পুলিশ সপ্তাহে প্যারেড কমান্ডারের দায়িত্ব পালন করেন পুলিশের এ দক্ষ কর্মকর্তা। প্রথম নারী হিসেবে গতবছর পুলিশ সপ্তাহে দক্ষতার সঙ্গে প্যারেড পরিচালনা করেন শামছুন্নাহার।

গতকাল সোমবার (২৩ জানুয়ারি) সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাজারবাগ পুলিশ লাইন্স মাঠে উদ্বোধন করার মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে পুলিশ সপ্তাহ-২০১৭। পুলিশ সপ্তাহের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শামছুন্নাহারের নেতৃত্বে প্যারেড অনুষ্ঠিত হয়। তার নেতৃত্বে সারাদেশের বিভিন্ন পুলিশ ইউনিটের সমন্বয়ে গঠিত ১০টি কন্টিনজেন্টের সহস্রাধিক সদস্য প্যারেডে অংশ নেন। এ সময় তিনি প্যারেডে অংশগ্রহণকারীদের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীকে সালাম প্রদান করেন।

সাহসিকতা ও বীরত্বপূর্ণ কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ পুলিশ সপ্তাহে শতাধিক কর্মকর্তাকে বিভিন্ন পদক দেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নিজ হাতে পুলিশের এসব কর্মকর্তাকে পদক পরিয়ে দেন। এসব পদকপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের তালিকায় আছে এসপি শামছুন্নাহারের নামও।

২০১৫ সালে চাঁদপুরে পুলিশ সুপার পদে যোগ দেন শামছুন্নাহার। এর আগে তিনি দেশের বাইরে থেকে বাংলাদেশ পুলিশ বিভাগের হয়ে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন। পরে পুলিশ হেড কোয়ার্টারে যোগ দেন। কর্মক্ষেত্রে অসামান্য অবদানের জন্য তাকে পিপিএম’র জন্য মনোনিত করা হয়। গতকাল সোমবার তার হাতে পদক তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

চাঁদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান জানান, জেলায় মাদকের বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন, গুরুত্বপূর্ণ মামলার রহস্য উদঘাটন, অপরাধ নিয়ন্ত্রণ, দক্ষতা, কর্তব্যনিষ্ঠা, সততা ও শৃঙ্খলামূলক আচরণের জন্য শামছুন্নাহারকে পুলিশের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ এ পদকের জন্য নির্বাচিত করা হয়।

শামছুন্নাহার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গ্র্যাজুয়েশন করেন। তার বাবা ফরিদপুরের প্রবীণ আইনজীবী ও মুক্তিযোদ্ধা শামছুল হক ভোলা মাস্টার। দুই সন্তানের জননী শামছুন্নাহারের স্বামী হেলাল উদ্দিন আমেরিকা প্রবাসী। চাঁদপুরে সততা এবং নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালনকারী নারী এই পুলিশ সুপার ইতোমধ্যে জেলাবাসীর প্রশংসা কুড়িয়েছেন।

সেবা, সাহসিকতা ও বীরত্বপূর্ণ কাজের জন্য এবার পুলিশ পদক পাচ্ছেন ১৩২ জন পুলিশ সদস্য। চারটি ক্যাটাগরিতে এই পুরস্কার দেয়া হয় – বিপিএম সাহসিকতা, বিপিএম সেবা, পিপিএম সাহসিকতা ও পিপিএম সেবা। পুলিশ সদর দফতর সূত্র জানায়, এর মধ্যে সাহসিকতায় বাংলাদেশ পুলিশ মেডেল (বিপিএম) ২৬ জন, বিপিএম-সেবা ২৪ জন, সাহসিকতায় প্রেসিডেন্ট পুলিশ মেডেল (পিপিএম) ৪১ জন এবং পিপিএম-সেবা পাচ্ছেন ৪১ জন পুলিশ সদস্য।

Similar Articles

Advertismentspot_img

Most Popular