নিউজ ডেস্ক:
পাঠ্যবইয়ে ভুলের ঘটনায় জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) ঊর্ধ্বতন ছয় কর্মকর্তাকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিয়ে তাদের অন্যত্র বদলি করা হয়েছে।
এদের মধ্যে দুজনকে গত মঙ্গলবার এবং চারজনকে গতকাল বুধবার বদলির আদেশ দেওয়া হয়। বুধবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ থেকে এক প্রজ্ঞাপন জারি করে এ তথ্য জানানো হয়।
বুধবার চারজনের বদলির আদেশে বলা হয়েছে, এই কর্মকর্তাদের বৃহস্পতিবারের মধ্যে বর্তমান কর্মস্থল ত্যাগ করতে হবে। তা না করলে বৃহস্পতিবার বিকেলে তারা ‘তাৎক্ষণিকভাবে অবমুক্ত’ (স্ট্যান্ড রিলিজ) বলে গণ্য হবেন।
এনসিটিবির প্রাথমিক শিক্ষাক্রম উংইয়ের সদস্য অধ্যাপক মো. আব্দুল মান্নানকে ঝিনাইদহের সরকারি কে সি কলেজে এবং এনসটিবির সম্পাদক সহযোগী অধ্যাপক গৌরাঙ্গ লাল সরকারকে নোয়াখালীর হাতিয়া দ্বীপ সরকারি কলেজে বদলি করা হয়েছে।
এছাড়া এনসিটিবির বিশেষজ্ঞ সহযোগী অধ্যাপক মো. মোসলে উদ্দিন সরকারকে পটুয়াখালী সরকারি মহিলা কলেজ ও মো. হাননান মিঞাকে ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ সরকারি কলেজে পাঠানো হয়েছে।
এর আগে গত মঙ্গলবার রাতে আরেক আদেশে এনসিটিবির সচিব মো. ইমরুল হাসানকে ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ সরকারি কলেজে বদলি করা হয়। ইমরুলকে বুধবারের মধ্যেই বর্তমান কর্মস্থল থেকে অবমুক্ত হতে বলা হয়েছে। আর গবেষণা কর্মকর্তা রেবেকা সুলতানা লিপিকে পাঠানো হয় সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজে।
পাঠ্যবইয়ের ভুলের বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তদন্ত কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে এ কর্মকর্তাদের শাস্তিমূলক বদলি করা হয়েছে বলে মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন।
পাঠ্যবইয়ে ভুলের বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব রুহী রহমানকে প্রধান করে গঠিত কমিটি গত ২৩ ফেব্রুয়ারি প্রতিবেদন জমা দেয়। তার ভিত্তিতে এ বদলির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
চলতি শিক্ষাবর্ষে মাধ্যমিক, নিম্ন মাধ্যমিক ও প্রাথমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের মাঝে বিতরণকৃত কয়েকটি বইয়ে ভুলত্রুটি নিয়ে জানুয়ারি মাসের শুরুতে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও এ নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা হয়।
তাৎক্ষণিকভাবে এ ঘটনায় এনসিটিবির সদস্য (অর্থ) অধ্যাপক কাজী আবুল কালামকে আহ্বায়ক করে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়। এ কমিটির তদন্তের ভিত্তিতে এনসিটিবির প্রধান সম্পাদক প্রীতিশ কুমার সরকার ও ঊর্ধ্বতন বিশেষজ্ঞ লানা হুমায়রা খানকে ওএসডি ও আর্টিস্ট কাম ডিজাইনার (চিত্র ও নকশাকার) সুজাউল আবেদিনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
পরে ৯ জানুয়ারি অতিরিক্ত সচিব রুহী রহমানকে প্রধান করে তদন্ত কমিটি গঠন করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।