নিউজ ডেস্ক:
প্রায় অর্ধশতাব্দী ধরে মা-বাবা হারা পশু-পাখিদের আশ্রয় দিচ্ছেন ভারতের সামাজিক কর্মী ড. প্রকাশ আমতে। শুধু আশ্রয় নয়, তাদের খাবার-চিকিৎসারও বন্দোবস্থ করে আসছেন।
মহারাষ্ট্র প্রদেশের গড়চিরুলি জেলার ভামরগড় তালুকের হেমালকাসা গ্রামের পাশে দানদারায়ানা বন। পাশেই সস্ত্রীক থাকতেন ড. প্রকাশ। ওই অঞ্চলে মাদিয়া আদিবাসীগোষ্ঠী বাস করে। খাবারের প্রয়োজন মেটাতে মাদিয়ারা তো প্রায়ই মা পশুপাখিদের শিকার করে। তখন তাদের বাচ্চাটা হয় মায়ের সঙ্গে মাদিয়াদের হাতেই প্রাণ দেয়, নয়তো বনের মধ্যে না খেতে পেরেই মারা যায় কিংবা মারা পড়ে অন্য শিকারি প্রাণীর হাতে।
বিষয়টি খেয়াল করার পর ড. প্রকাশ মাদিয়াদের সঙ্গে তিনি একটা চুক্তি করলেন। মাদিয়ারা যদি কোনো প্রাণীকে শিকার করে, বাচ্চাটাকে দিয়ে যাবে ড. প্রকাশের বাসায়। তার বিনিময়ে ডাক্তার তাদের দেবেন চাল, কাপড় আর ওষুধপত্র। আর সেই পশুপাখির বাচ্চাদের জন্য নিজ বাসায় বানিয়ে ফেললেন এতিমখানা।
১৯৭৩ সালের ২৩ ডিসেম্বর যাত্রা শুরু হয় এই পশুপাখিদের এতিমখানা বা এনিম্যাল আর্কের। এখানে দেখা মিলবে সাপ, পাখি, কুমির, পেঁচা, হায়েনা, বানর, হরিণ, পেঁচার। শুধু পশু-পাখির জন্যই নয়, আদিবাসী মাদিয়াদের জন্য একটি হাসপাতাল বা দাওয়াখানা গড়েছেন। আবাসিক স্কুল বা আশ্রমশালা প্রতিষ্ঠা করেছেন। সামাজিক কাজে অবদানের স্বীকৃতিও পেয়েছেন ভারত সরকারের কাছ থেকে। ২০০২ সালে পদ্মশ্রী পুরস্কারে ঘোষিত হন তিনি।