নিউজ ডেস্ক:
গত এক বছরের ব্যবধানে এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে লেনদেন প্রায় চার গুণ বেড়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি ২০১৬-১৭ অর্থবছরের জুলাই-মার্চ মেয়াদে (প্রথম নয় মাসে) এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে সারা দেশে ৮ হাজার ৫৫ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে। গত ২০১৫-১৬ অর্থবছরের জুলাই-মার্চ মেয়াদে এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে সারা দেশে লেনদেন হয়েছিল ২ হাজার ১৫৫ কোটি টাকা।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদনে আরো উল্লেখ করা হয়েছে, চলতি অর্থবছরের মার্চে সারা দেশে এজেন্ট ব্যাংকিং হিসাবধারীর সংখ্যা ৭ লাখ ১০ হাজার ছাড়িয়েছে।
প্রসঙ্গত, কোনো ব্যাংকের শাখা নেই, এমন পল্লি এলাকায় ব্যাংকিং সেবা পৌঁছে দিতে ২০১৩ সালের ৯ ডিসেম্বর এজেন্ট ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনার জন্য বিধিমালা জারি করে বাংলাদেশ ব্যাংক। ২০১৫ সালের সর্বশেষ ৬ জানুয়ারি সার্কুলার জারির মাধ্যমে গ্রাম ও শহরাঞ্চলে এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের অনুমোদন দেওয়া হয়। এখন পর্যন্ত এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে উল্লেখযোগ্য পরিমাণের কৃষি ও এসএমই ঋণ বিতরণ করা হয়েছে।
এজেন্ট ব্যাংকিংয়ে সর্বোচ্চ ২৯ শতাংশ গ্রাহক ছোট ব্যবসায়ী। তারপর ১৮ শতাংশ গ্রাহক গৃহিণী। ১৫ শতাংশ গ্রাহক সরকার-বেসরকারি চাকরিজীবী, ৭ শতাংশ গ্রাহক শিক্ষার্থী। প্রত্যন্ত অঞ্চলে এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের সেবা দেওয়ায় কৃষকদের মধ্যেও এজেন্ট ব্যাংকিং জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। বর্তমানে মোট গ্রাহকের ৭ শতাংশ কৃষক। এমনকি ৩ শতাংশ দিনমজুরও এজেন্ট ব্যাংকিং এর মাধ্যমে ব্যাংকে তাদের হিসেব খুলেছে।