রবিবার, ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০২৫
রবিবার, ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০২৫

একের পর এক নানামুখী কর্মকান্ডে সুনাম অর্জন করে চলেছেন ঝিনাইদহের পুলিশ সুপার হাসানুজ্জামান

জাহিদুর রহমান তারিক, ঝিনাইদহঃ

একের পর এক নানামুখী কর্মকান্ডে নিজেকে নিয়োজিত করে সুনাম অর্জন করে চলেছেন ঝিনাইদহের পুলিশ সুপার হাসানুজ্জামান। তিনি পুলিশ হিসাবে নয়। নিজেকে উৎসর্গ করেছেন সাধারন মানুষ হিসাবে। তিনি কর্মদক্ষ প্রশাসক ও বিনয়ী হিসাবে ঝিনাইদহ সাধারণ মানুষের কাছে সুনাম কুড়িয়েছেন।

সদালাপী, সাদা মাটা, নিঃঅহংকার হওয়ায় মানুষ সহজে তার যেতে পারে। এমনকি কোন সমস্যা নিয়ে গেলে ন্যায় সংগত সমাধান দেওয়ার চেষ্টা করেন। রাতে দিনে সব সময় মোবাইল খোলা রাখেন। যাতে করে যে কোন মানুষ তার কাছে যোগাযোগ করতে পারে।

ইতিমধ্যে ঝিনাইদহ জেলাকে জুয়া,মাদক ও সন্ত্রাসমুক্ত করার জন্য অবিরাম চেষ্টা করে যাচ্ছেন তিনি। ঝিনাইদহ জেলার ওপর দিয়ে চলাচলকারী যানবাহনের চালকদের কাছ থেকে গাড়ি থামিয়ে ১২টি স্পট থেকে মোটা অঙ্কের টাকা চাঁদা আদায় করার কারণে যানজটও লেগেই থাকত। তা তিনি কঠোর হস্তে দমন করেছেন।

তার প্রচেষ্টায় অনেক হত্যা মামলার মোটিভ খুঁজে বের করতে সক্ষম হয়েছে পুলিশ।  খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে,স্পর্শকাতর হত্যা মামলাগুলো তার উদ্যোগে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি নেওয়া সম্ভব হয়েছে। বিভিন্ন হয়রানিমূলক মিথ্যা মামলা থেকে তার কাছে সাধারণ মানুষ ন্যায় বিচার পেয়েছেন। কোন নিরাপরাধ মানুষ যেন হয়রানির শিকার না হয় সেদিকে তার লক্ষ্য সবসময়। তিনি ঝিনাইদহের ৬টি থানাকে ঘুষমুক্ত করার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করে যাচ্ছেন। তিনি ১০০টাকা ফিতে পুলিশ কনস্টেবল নিয়োগ দিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।

বিভিন্ন সময় অসহায় মেধাবীদের সাহায্য সহযোগিতাও করে থাকেন। করোনা মহামারি থেকে ঝিনাইদহ বাসীর রক্ষার জন্য বাজারে বাজারে ব্যারিকেট,ব্যক্তিগত উদ্যোগে ধর্মবর্র্ণ মানুষের সাথে বৈষম্য না করে সুষম ভাবে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ,মাস্ক,হ্যান্ড স্যানিটাইজার বিতরণ,অবহেলিত মানুষের চিকিৎসা সেবা দেওয়া,করোনায় আক্রান্ত ও উপসর্গ নিয়ে মৃত ব্যক্তির দাফন করা ও আইশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।

পেশাগত জীবনে সাহসিকতা, বীরত্বপূর্ণ ও সেবামূলক কাজের জন্য পুলিশ পদক বিপিএম (সেবা) প্রদান করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ ব্যাপারে  সদর ওসি মিজানুর রহমান জানান, স্যার যোগদান করার পর থেকে ঝিনাইদরেহ চিত্র পাল্টিয়ে গেছে। তার কর্মকান্ড দেখে আমরাও কাধে কাধ মিলিয়ে কাজ করে যাচ্ছি।

এসম্পর্কে আব্দুর রউফ ডিগ্রী কলেজের সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক কেএম সালেহ জানান, এর আগেও ঝিনাইদহে অনেক পুলিশ সুপার এসেছেন। কিন্তু পুলিশ সুপার হাসানুজ্জামান সবার চেয়ে ব্যতিক্রম। এরকম পুলিশ সুপার প্রতিটা জেলায় হলে দেশের সমাজ ব্যবস্থা পাল্টিয়ে যেত বলে আমি মনে করি।

এবিষয়ে পুলিশ সুপার হাসানুজ্জামান জানান,আইজিপি স্যারের নির্দেশ অক্ষরে অক্ষরে পালন করার চেষ্টা করছি। সমাজ থেকে মাদক জিরো টলারেন্সে আনার জন্য বিরামহীন ভাবে কাজ করছি।

জেলার ৬টি থানায় জিডি ও পুলিশ ক্লিয়ারেন্সসহ সব ধরনের সেবা ফ্রী ঘোষনা করা হয়েছে। কোন পুলিশ সদস্য মাদক ও দুর্নীতির সাথে জড়িত থাকে তার দায়ভার পুলিশ বাহিনী বহন করবে না। সেই সাথে তাকে চাকুরিচ্যুত করা হবে।

 

Similar Articles

Advertismentspot_img

Most Popular