নিউজ ডেস্ক: বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ এবার ২১ গুণীকে একুশে পদক প্রদান করা হয়েছে। মঙ্গলবার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে পদকপ্রাপ্তদের হাতে সম্মাননা তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
পদকপ্রাপ্তদের পুরস্কার হিসেবে একটি সোনার পদক, সনদ এবং দুই লাখ টাকার চেক দেয়া হয়।
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ও মহান একুশে ফেব্রুয়ারি উপলক্ষে সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয় এ অনুষ্ঠানের অয়োজন করে।
সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূরের সভাপতিত্বে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. শফিউল আলম পদক বিতরণ অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন এবং পদকপ্রাপ্তদের কর্মময় জীবনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন।
এ সময় অনুষ্ঠানে মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা, জাতীয় সংসদের সদস্য, বিচারপতি, বিভিন্ন পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও অধ্যাপক, রাজনীতিবিদ, কূটনীতিক, কবি, সাহিত্যিক, লেখক, সাংবাদিকসহ বিভিন্ন পর্যায়ের আমন্ত্রিত অতিথিরা উপস্থিত ছিলেন।
চলতি বছরের একুশে পদকপ্রাপ্তরা হলেন- ভাষা আন্দোলনে আ জ ম তকীয়ূল্লাহ (মরণোত্তর) ও অধ্যাপক মির্জা মাজহারুল ইসলাম। সংগীতে শেখ সাদী খান, সুজেয় শ্যাম, ইন্দ্রমোহন রাজবংশী, খুরশীদ আলম ও মতিউল হক খান। নৃত্যে মীনু হক (মীনু বিল্লাহ)। অভিনয়ে হুমায়ুন ফরীদি (মরণোত্তর), নাটকে নিখিল সেন, চারুকলায় কালীদাস কর্মকার, আলোকচিত্রে গোলাম মুস্তাফা, সাংবাদিকতায় রণেশ মৈত্র, গবেষণায় ভাষাসৈনিক অধ্যাপক জুলেখা হক (মরণোত্তর), অর্থনীতিতে ড. মইনুল ইসলাম, সমাজসেবায় ইলিয়াস কাঞ্চন। ভাষা ও সাহিত্যে সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম, সাইফুল ইসলাম খান (কবি হায়াৎ সাইফ), সুব্রত বড়ুয়া, রবিউল হুসাইন ও খালেকদাদ চৌধুরী (মরণোত্তর)।
পদক বিজয়ীরা প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে নিজ নিজ পদক গ্রহণ করেন এবং মরণোত্তর একুশে পদক বিজয়ীদের পক্ষে তাদের সন্তানরা এ পদক গ্রহণ করেন।
ভাষাসৈনিক আ জ ম তকীয়ূল্লাহর (মরণোত্তর) পক্ষে কন্যা সাংবাদিক ও কলামিস্ট শান্তা মারিয়া, মরহুম হুমায়ুন ফরীদির পক্ষে মেয়ে সারারাত ইসলাম, মরহুমা অধ্যাপক জুলেখা হকের পক্ষে মেয়ে তৃষা হক, মরহুম খালেকদাদ চৌধুরীর পক্ষে ছেলে হায়দার জাহান চৌধুরী প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে পদক গ্রহণ করেন। সাংবাদিক রণেশ মৈত্র বিদেশে থাকায় তার পক্ষে ছেলে প্রলয় কুমার মৈত্র পদক গ্রহণ করেন।