বৃহস্পতিবার, ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০২৫
বৃহস্পতিবার, ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০২৫

একাদশ জাতীয় সংসদের দ্বাদশ অধিবেশনে পাসের অপেক্ষায় ১০ বিল!

নিউজ ডেস্ক:

একাদশ জাতীয় সংসদের দ্বাদশ অধিবেশন বসবে আগামী ১ এপ্রিল বেলা ১১টায়। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন অধিবেশনের সভাপতিত্বে এই অধিবেশন শুরু হবে। অধিবেশনে ১০টি বিল পাস করার কথা রয়েছে।

সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, অধিবেশনে পাসের অপেক্ষায় থাকা বিলগুলোর মধ্যে একটি বিল পুরনো এবং ৯টি নতুন। ‘আয়োডিনযুক্ত লবণ বিল-২০২১’ নামে বিলটি গত ২১ জানুয়ারি সংসদে উত্থাপনের পর শিল্প মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়েছে। উত্থাপনের অপেক্ষায় থাকা বিলগুলো হচ্ছে- বাংলাদেশ চলচিত্র কল্যাণ ট্রাস্ট বিল-২০২১, বাংলাদেশ হাউজ বিল্ডিং করপোরেশন ফাইনান্স (অ্যামেন্ডমেন্ট) বিল-২০২১, ব্যাংকার বহিসাক্ষ্য বিল-২০২১, বাংলাদেশ ট্যুর অপারেটর ও ট্যুর গাইড (নিবন্ধন ও পরিচালনা) বিল-২০২১, মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ বিল-২০২১, শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্র বিল-২০২১, মেডিকেল ডিগ্রি (রিপেল) বিল-২০২১, মেডিকেল কলেজ (গভর্নিং বডিস) (রিপেল) বিল-২০২১ এবং হজ ও ওমরাহ ব্যবস্থাপনা বিল-২০২১।

সংসদ সচিবালয় সূত্রে জানা গেছে, সর্বোচ্চ ৫ থেকে ৬ দিন অধিবেশন চলতে পারে। অধিবেশনে স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে অনুসরণ করা হবে এবং সংক্ষিপ্ত আকারে হবে। বিল পাস ছাড়াও সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে সাধারণ আলোচনা হতে পারে। অধিবেশনের প্রথম দিন সংসদ সদস্য মাহমুদ-উস সামাদ চৌধুরীর মৃত্যুতে সংসদে শোক প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা শেষে অধিবেশন মূলতবি করা হবে।

সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, সাধারণত কার্যউপদেষ্টা কমিটির বৈঠকে অধিবেশনের মেয়াদ ঠিক করা হলেও করোনা মহামারির কারণে গত পাঁচটি অধিবেশনের মতো এবার ওই কমিটির বৈঠক হচ্ছে না। সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলাপ করে স্পিকার অধিবেশনের মেয়াদ ও কার্যসূচী চূড়ান্ত করবেন। তবে জুন মাসের প্রথম সপ্তাহে বাজেট অধিবেশন থাকায় এই অধিবেশন আগামী সপ্তাহেই শেষ হবে। অধিবেশন চলাকালে সংসদ ভবনে প্রবেশের ক্ষেত্রে করোনা নেগেটিভ সনদ বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। আর অধিবেশন কক্ষে প্রবেশের ক্ষেত্রে করোনা নেগেটিভ সনদের মেয়াদ থাকবে ৪৮ ঘণ্টা। এরপর আবারও টেস্ট করাতে হবে। করোনা ভ্যাকসিন গ্রহণকারীদেরও টেস্ট করাতে হবে। ভ্যাকসিন গ্রহণের পর সিলেট-৩ আসনের সংসদ সদস্য মাহমুদ-উস সামাদ চৌধুরীর করোনায় মৃত্যু এবং অনেকেই আক্রান্ত হওয়ায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

সংসদ সচিবালয় জানায়, প্রতিটি কার্যদিবসে ৭০-৮০ জন সংসদ সদস্যের উপস্থিতি নিশ্চিত করা হবে। তবে নতুন নির্দেশনার কারণে অধিবেশনে যোগ দিতে একাধিকবার টেস্ট করানোর প্রয়োজন পড়বে। করোনা ঝুঁকি এড়াতে আগের অধিবেশনগুলোর মতো মাঝখানে গ্যাপ দিয়ে দিয়ে আসন বিন্যাস করা থাকবে। সংসদ অধিবেশন চলাকালে দায়িত্বরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের করোনাভাইরাস পরীক্ষা করতে হবে।

Similar Articles

Advertismentspot_img

Most Popular