নিউজ ডেস্ক:
কিমের হুমকি-ধামকি ইঙ্গিত দিচ্ছে প্রশান্ত মহাসাগরে উত্তর কোরিয়া যদি হাইড্রোজেন বোমা ফেলে, তাহলে আমেরিকার সঙ্গে দেশটির যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ার প্রবল আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। আর একবার যুদ্ধ বেধে গেলে তা তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধে পরিণত হওয়ার আশঙ্কা প্রবল।
প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের ভবিষ্যদ্বাণী, উত্তর কোরিয়ার যুদ্ধবাজ প্রেসিডেন্ট এখন চিতাবাঘের পিঠে সওয়ার হয়েছেন, সেখান থেকে নামার সুযোগ কম। আবার ছোট্ট একটি দেশের হুমকি মুখ বুঝে মেনে নিতেও পারবেন না মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এই অবস্থায় দুই দেশই গোপনে ও প্রকাশ্যে একে অপরের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত সামরিক প্রস্তুতি সেরে ফেলেছে।
যদিও উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট কিম জং উনের পারমাণবিক হামলার হুমকির সত্যতা নিয়ে এখনও খানিকটা দ্বিধায় আন্তর্জাতিক মহল। কারণ, পিয়ংইয়ংয়ের কাছে হামলা চালানোর জন্য পর্যাপ্ত পারমাণবিক অস্ত্র নেই, এমনটাই মনে করেন কয়েকজন আন্তর্জাতিক প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞ। কিন্তু তা বলে উত্তর কোরিয়াকে সহজভাবে নেওয়ার ভুল করতে রাজি নন কেউই।
সবচেয়ে বেকায়দায় পড়েছে জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়া। উত্তর কোরিয়ার যাবতীয় ক্ষেপণাস্ত্রের পাল্লার মধ্যেই পড়ছে দুই পড়শিই। ফলে তাদের নিরাপত্তা নিয়েই এখন বেশি চিন্তিত আমেরিকা। কারণ, আমেরিকার মিত্র রাষ্ট্রের সঙ্গে যুদ্ধে জড়ানোর অর্থই হল আমেরিকাকে যুদ্ধের হুঁশিয়ারি দেওয়া।
এরকম টানটান পরিস্থিতিতে আবার মার্কিন প্রেসিডেন্টকে ব্যঙ্গ করে ‘পাগল’ বলে মন্তব্য করে বিতর্ক বাড়িয়েছেন কিম।
সম্প্রতি কোরীয় সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া এক প্রতিক্রিয়ায় কিম বলেছেন, ‘পাগলাটে মার্কিন প্রেসিডেন্টের মন্তব্যের জবাব আমি গোলাগুলির বিনিময়ে দেব। ’ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দুই দেশের মধ্যে শত্রুতা এখন চরমে উঠেছে। যার ফলস্বরূপ অদূর ভবিষ্যতে নিউক্লিয়ার যুদ্ধ বেধে গেলেও আশ্চর্য হওয়ার মতো কিছুই নেই।
জাতিসংঘে তাঁর ভাষণে ট্রাম্প স্পষ্ট জানিয়েছেন, আমেরিকা ও তার বন্ধু রাষ্ট্রকে কোনওরকম হুমকি দিলে উত্তর কোরিয়াকে সম্পূর্ণ ধ্বংস করে দেবেন তিনি। সবমিলিয়ে ট্রাম্পের হুঁশিয়ারি ও উত্তর কোরিয়ার পালটা হুঁশিয়ারিকে ঘিরে এই মুহূর্তে চরম দোটানায় বিশ্ববাসী।