সভাপতি লেমন-সিনিয়র সহসভাপতি জগলু-ইবু সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত
গুরুত্বপূর্ণ সবকটি পদ লেমন-জগলু-ইবু পরিষদের দখলে : ১১ পদে চান্নু-বাবু-মাসুদ পরিষদের জয়লাভ
নিউজ ডেস্ক: সৌহার্দ্যপূর্ণ ও উৎসবমূখর পরিবেশে বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতি চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখার পঞ্চ-বার্ষিক নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ তিনটি পদ ছাড়া সভাপতি, সিনিয়র সহসভাপতি, সহসভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, সহ-সাধারণ সম্পাদক, সাংগঠনিক সম্পাদক, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক, প্রচার সম্পাদক, কোষাধ্যক্ষ, দপ্তর সম্পাদক, ধর্ম ও সমাজ সেবক সম্পাদক এবং ক্রীড়া সম্পাদক পদে নিরঙ্কুশ জয় পেয়েছে লেমন-জগলু-ইবু পরিষদ। গতকাল শুক্রবার সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ করার কথা থাকলেও ভোটারদের চাপে তা গড়ায় সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত। কাঁচামাল ব্যবসায়ী নেতা শাহ আলমের ভোট প্রদানের মধ্যে দিয়ে ব্যালট বাক্সের মুখ বন্ধ করা হয়। এরপর টানা ১০ ঘন্টা ভোট গণনা শেষে ভোর ৪টায় ফলাফল প্রকাশ করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার এড. সেলিম উদ্দীন খান। এর আগে ভোট কেন্দ্র পরিদর্শনে আসেন জেলা প্রশাসক জিয়াউদ্দীন আহমেদ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) তরিকুল ইসলাম।
ঘোষিত ফলাফলে ছাতা প্রতীকে ৪৬৯ ভোট পেয়ে সভাপতি পদে জয়লাভ করেছেন হাজী মো. আসাদুল হোসেন জোয়ার্দ্দার লেমন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হাজী সালাউদ্দীন চান্নু পেয়েছেন জাহাজ প্রতীকে পেয়েছেন ৩৪০ ভোট। সিনিয়র সহ-সভাপতি পদে প্রদীপ প্রতীকে ৪৭৩ ভোট পেয়ে জয় পেয়েছেন আব্দুল কাদের জগলু। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সামসুল আলম বাবু কুঁড়েঘর প্রতীকে ৩০৫ ভোট পেয়ে পরাজিত হয়েছেন। সাধারণ সম্পাদক পদে বাইসাইকেল প্রতীকে ইবরুল হাসান জোয়ার্দ্দার ইবু ৪২৬ ভোট পেয়ে কাঙ্খিত জয় ছিনিয়ে নিয়েছেন। চেয়ার প্রতীকে ৩৪৮ ভোট পেয়ে তার একমাত্র নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হাজী মো. মাসুদুর রহমান মাসুদ পরাজিত হয়েছেন। এ ছাড়াও সহ-সভাপতির ৫টি পদে নির্বাচিত হয়েছেন আইফেল টাওয়ার প্রতীকে ৪৩৬ ভোট পেয়ে হাজী মো. শাহাবুদ্দীন মল্লিক, আম প্রতীকে ৪১৯ ভোটে মহিদুল ইসলাম ভাষা, হাতী প্রতীকে ৪১৪ ভোটে নীল রতন সাহা, দাঁড়িপাল্লা প্রতীকে মো. সামসুজ্জামান খোকন ৩৮২ ভোট পেয়ে এবং বটগাছ প্রতীকে ৩৭৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন হাজী মো. মফিজুর রহমান মুকুল (চান্নু-বাবু-মাসুদ পরিষদ প্রার্থী)। যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে তালগাছ প্রতীকে ৫১৬ ভোট পেয়ে বিপুল ব্যবধানে জয় পেয়েছেন হাজী মো. সেলিম রেজা। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বাস প্রতীকে ৩৪৮ ভোট পেয়েছেন হাজী মো. ওহিদুল ইসলাম বিশ্বাস। সহ-সাধারণ সম্পাদক পদে মো. দেলওয়ার উদ্দীন দুলু নাঙল প্রতীকে ৪৭০, গরুরগাড়ী প্রতীকে ৩৭৬ ভোটে মসিউর রহমান আবু (চান্নু-বাবু-মাসুদ পরিষদ প্রার্থী) ও হাবিল হোসেন জোয়ার্দ্দার বালতি প্রতীকে ৩৪৫ ভোট পেয়ে জয়লাভ করেছেন। সাংগঠনিক সম্পাদক পদে দোয়েল পাখি প্রতীকে মো. নুরুজ্জামান খোকন ৩৯৪ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হরিণ প্রতীকে ৩২৫ ভোট পেয়েছেন মো. শওকত হাসান। সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক পদে এস এম শামীম মাসুদ হাঁস প্রতীকে ৩৭৫ ভোট পেয়ে জয়লাভ করেছেন। চাঁদ প্রতীকে ৩০০ ভোট পেয়ে তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হেদায়েত উল্লাহ মন্ডল। মোবাইল প্রতীকে ৩৮০ ভোট পেয়ে প্রচার সম্পাদক পদে নির্বাচিত হয়েছেন মাফিজুর রহমান মাফি। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী শাহজাহান আলী হারিকেন প্রতীকে পেয়েছেন ৩৩৮ ভোট। কোষাধ্যক্ষ সিংহ প্রতীকে ৪৩১ ভোট পেয়ে জয়লাভ করেছেন তহিবুর রহমান জোয়ার্দ্দার বাবু। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ওসমান গনি ঘোড়া প্রতীকে পেয়েছেন ৩০০ ভোট। সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে ঢোল প্রতীকে খন্দাকার জান্নাতুল ফেরদাউস সৌরভ (চান্নু-বাবু-মাসুদ পরিষদ প্রার্থী) ৪২২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী পবিত্র কুমার আগরওয়ালা বেহালা প্রতীকে পেয়েছেন ২৯৪ ভোট। ধর্ম ও সমাজসেবক সম্পাদক পদে গোলাপফুল প্রতীকে ৩৫৭ ভোট পেয়ে ডা. নাজমুল আলম খান নির্বাচিত হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ঘঁড়ি প্রতীকে আলাউদ্দিন বিশ্বাস পেয়েছেন ৩২৬ ভোট। ক্রীড়া সম্পাদক পদে ব্যাট-বল প্রতীকে ৪১৪ ভোট পেয়ে জয় ছিনিয়ে নিয়েছেন রেজাউল হক রিজু (চান্নু-বাবু-মাসুদ পরিষদ প্রার্থী)। তার নিকটতম প্রার্থী মহসিন রেজা ফুটবল প্রতীকে পেয়েছেন ৩২৬ ভোট।