আজ বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের (টিএসসি) গেমস রুমে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
ছাত্রদল সাধারণ সম্পাদক অভিযোগ করেন, গতকাল মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) খুলনা প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) ছাত্রদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় নেতৃত্ব দিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক ওমর ফারুক এবং ঢাকায় বসে হামলার বিষয়ে মনিটরিং করেছেন হাসনাত আবদুল্লাহ।
ছাত্রদল সেক্রেটারি আরও বলেন, ছাত্ররাজনীতি বন্ধ করতে চাওয়া ফ্যাসিবাদী মনোভাবের বহিঃপ্রকাশ। ছাত্রদের রাজনীতি করার অধিকার কেড়ে নিতে চাওয়া অগণতান্ত্রিক, অসাংবিধানিক এবং আন্তর্জাতিক আইন অনুসারে মৌলিক অধিকারের পরিপন্থি। প্রকাশ্য রাজনীতি করার অধিকার সবার রয়েছে। কুয়েটে ছাত্রদল প্রকাশ্য রাজনীতি চর্চা করতে চায়।
উল্লেখ্য, গত শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) ঢাকায় ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের একটি গুরুত্বপূর্ণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে আয়োজিত সভায় অনেকের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- হাসনাত আবদুল্লাহ এবং নাসিরুদ্দিন পাটোয়ারী। এদিনের সভায় দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা একত্রিত হন। তারা সেখানে জাতীয় সংকট এবং সংকটমুক্তির পথে সমাধান খোঁজার উপর আলোচনা করেন।
পরবর্তীকালে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে হাসনাত আবদুল্লাহ’র পায়ে হেঁটে সভায় পৌঁছানোর একটি ভিডিও প্রকাশ পায়।