বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিপের কারণে সাগর উত্তাল হয়ে ওঠায় শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) ভোর থেকে উপকূলীয় অঞ্চলে আম্নচাছড়ে পড়ছে বিশাল বিশাল ঢেউ। বইছে ঝড়ো হাওয়া। বিকাল থেকে ভারী বৃষ্টি হচ্ছে। এই অবস্থায় সাগরে টিকতে না পেয়ে সুন্দরবনের নদী-খালে আশ্রয় নিয়েছে ৩ শতাধিক ফিশিং ট্রলার।
বন্ধ হয়ে গেছে সাগরে ইলিশসহ সব ধরনের মাছ আহরণ।
দেশের দক্ষিণ-পূর্বাংশ ও তৎসংলগ্ন উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগর এলাকায় একটি লঘুচাপ সৃষ্টির কারণে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যাচ্ছে। এমতাবস্থায় দেশের চারটি সমুদ্র বন্দরে তিন নম্বর সতর্কতা সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। লঘুচাপের কারণে দিনভর বাগেরহাটে থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। বাগেরহাটসহ উপকূল-জুড়ে বয়ে যাচ্ছে ঝড়ো হাওয়া।
বাগেরহাটের পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) কাজী মো. নূরুল করিম জানান, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের কারণে সাগরে ঝড়ো হাওয়ার বিশাল বিশাল ঢেউ আছড়ে পড়ছে উপকূলীয় এলাকায়। ঢেউয়ের কারণে টিকতে না পেরে শুক্রবার সকাল থেকে ৩ শতাধিক ফিশিং ট্রলার সুন্দরবনের নদী-খালে আশ্রয় নিয়েছে। এসব ফিশিং ট্রলার সুন্দরবনের কটকা, কচি-খালী, হিরণ পয়েন্ট, দুবলাসহ বিভিন্ন এলাকার নদীখালে আশ্রয় নিয়ে রয়েছে।
আবহাওয়া অফিসের এক বিজ্ঞপ্তি জানিয়েছে দেশের দক্ষিণ-পূর্বাংশ ও তৎসংলগ্ন উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপটি উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে আরও ঘনীভূত হতে পারে। এর প্রভাবে গভীর সঞ্চালনশীল মেঘমালা সৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে। বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা, উত্তর বঙ্গোপসাগর ও সমুদ্র বন্দরগুলোর ওপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।