নিউজ ডেস্ক:
ঈদুল আজহা বা কোরবানির ঈদ দেখতে দেখতে চলে এসেছে। বছরে মূলত দুই ঈদেই সবচেয়ে বেশি ছুটি পাওয়া যায়। ঈদে বাড়িতে যাওয়া এবং ফেরার মাঝে অনেক বাধা বিপত্তি থাকলেও ঈদে বাড়িতে যান না এমন মানুষ মেলা ভার। বরং অন্য ধর্মাবলম্বীরাও সানন্দে বাড়িতে চলে যান ঈদের ছুটি কাটাতে।
এই বাড়ি যাওয়া এবং ফেরার মাঝে এমন কিছু রেখে যাচ্ছেন না তো, যেক্ষেত্রে আপনার অনুপস্থিতি খারাপ লাগার কারণ হতে পারে? প্রিয় পোষা প্রাণী বা পছন্দের বেলকুনির ছোট্ট বাগানটি আপনার অনুপস্থিতিতে কেমন থাকবে ভেবে দেখেছেন? না পারবেন সঙ্গে নিতে, না পারবেন এদের দেখাশোনায় কেউ একজনকে রেখে যেতে! তাহলে উপায়? জেনে নিন সমাধান।
পোষা প্রাণীর ক্ষেত্রে
আপনার পোষা প্রাণীটি যদি কুকুর বা বিড়াল হয় তাহলে তাদেরকে আলাদা প্যাকেটজাত খাবারে অভ্যস্ত করে তুলুন। প্যাকেটজাত খাবারগুলো শুকনা থাকে। এতে করে তা পঁচে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে না। তবে খাবার ডাস্ট হয়ে যাওয়া থেকে রক্ষা করতে চাইলে একটু বুদ্ধি খাটাতে হবে। বোতল কেটে এবং সেটাতে পুশিং সিস্টেম করে অনেক খাবার একসঙ্গে দিলেও তা ডাস্ট হয়ে যায় না। আর এটি বানানোর পদ্ধতি ইউটিউব ঘাটলেই পেয়ে যাবেন।
পাখির ক্ষেত্রেও একই পদ্ধতি কাজে লাগাতে পারেন। তবে পর্যাপ্ত পানি সরবরাহের জন্য নলের ব্যবস্থা করতে হবে। এসব ক্ষেত্রে আপনার পোষা প্রাণীর একটু প্রশিক্ষণের দরকার আছে। তার জন্য অবশ্য একদিন সময় যথেষ্ট। আপনি আপনার পদ্ধতি কাজে লাগিয়ে রেখে দিন আপনার পোষা প্রাণী ঠিকই আবিষ্কার করে ফেলবে যে কিভাবে খাবার এবং পানীয় পাওয়া যাবে। আর তার বড় কারণ হচ্ছে, প্রাণীরাও যথেষ্ট বুদ্ধিমান।
এখন অবশ্য এক ধরনের মেশিন বেরিয়েছে, যেটি আপনার পোষা প্রাণীর স্পর্শ ডিটেক্ট করতে পারে এবং ওই মেশিনে স্পর্শ করার সঙ্গে সঙ্গে তা খাবার দিতে থাকে। এর সুবিধা হল আপনার প্রাণীটি ক্ষুধার্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মেশিনটি স্পর্শ করলেই খাবার পেয়ে যাবে। বিভিন্ন অনলাইন শপিং সাইটে এই মেশিন এবং ইউটিউবে এর ব্যবহার পেয়ে যাবেন সহজেই।
মাছের অ্যাকুরিয়ামের জন্যও নলের মাধ্যমে খাবারের ব্যবস্থা করা যায়। তবে অক্সিজেন চালু রেখে যাবেন। তবে যারা খরগোশ পালেন তাদের জন্য একটু সমস্যা রয়েছে। এই প্রাণীটির জন্য আপাতত কোনো সমাধান নেই আমাদের কাছে। তাই ঈদের ছুটি কাটাতে যাওয়ার আগে আপনার পছন্দের খরগোশটিকে রেখে যান অন্য কারো কাছে যে কি না তার দেখাশোনা করতে পারবে।
গাছের ক্ষেত্রে
এমন অনেক গাছ আছে যেগুলোতে সপ্তাহে একদিন পানি দিতে হয়। যেমন ক্যাকটাস। এই ধরনের গাছ থাকলে আপনি নিশ্চিন্তে তা রেখে ঈদের ছুটি কাটাতে যেতে পারেন।
কিন্তু যে গাছগুলোতে নিয়মিত পানি দিতে হয় সেগুলোর কি করবেন? জলপোসের ব্যবস্থা করতে পারেন। গাছের টবের নিচে আরেকটি পাত্র যেটা ভর্তি পানি থাকবে। অথবা জলধারার ব্যবস্থা করে রেখে যেতে পারেন।
একটি মাটির পাতিল নিবেন যেটার নিচে একদম মাঝ বরাবর খুবই ছোট একটা ছিদ্র থাকবে। ছিদ্রটি এতোটাই ছোট হতে হবে যেন এক ফোঁটার পরে আরেক ফোটা পানি পড়তে অনেক খানি সময় লাগে। এতে করে গাছের গোড়া পঁচবে না বা গাছ শুকিয়ে যাবে না এবং আপনিও নিশ্চিন্তে ঈদের ছুটি কাটাতে পারবেন।
তবে পোষা প্রাণীর ক্ষেত্রে আরো একটি কথা বলতে চাই, ঢাকাতে এখন এমন অনেকে আছেন যারা অল্প সময়ের জন্য পারিশ্রমিকের বিনিময়ে পোষা প্রাণীদের দেখে শোনা করে। একেক ধরনের প্রাণীর ক্ষেত্রে একেক ধরনের পারিশ্রমিক নির্ধারিত।