নিউজ ডেস্ক:
আজ দুপুর দেড়টায় জাতীয় সংসদে ২০১৭-২০১৮ অর্থবছরের বাজেট উপস্থাপন করতে যাচ্ছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। ৪ লাখ কোটির বেশি টাকার বাজেট ঘোষণার পাশাপাশি থাকছে নতুন মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট/মূসক) আইন বিষয়ে বিশেষ ঘোষণা।
নতুন আইনকে অধিক জনবান্ধব করতে সরকার দেশীয় রেফ্রিজারেটর, শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র (এসি), টেলিভিশনসহ বেশ কিছু ইলেকট্রনিক্স শিল্প সুরক্ষায় দিতে যাচ্ছে ভ্যাট অব্যাহতি সুবিধা। ভ্যাট অব্যাহতির সুবিধায় আসছে দেশীয় মোটরসাইকেল। ফলে দাম কমতে পারে এসব দেশীয় পণ্যের। বর্তমানে এসব পণ্যে ভ্যাট বিদ্যমান। পাশাপাশি আমদানিকৃত রেফ্রিজারেটর, এসি, টেলিভিশন কিংবা মোটরসাইকেলে বিদ্যমান সম্পূরক শুল্ক বৃদ্ধি পেতে যাচ্ছে।
এ বিষয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) ভ্যাট বিষয়ক ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা বলেন, নতুন ভ্যাট আইনে দেশীয় শিল্প সুরক্ষায় রেফ্রিজারেটর, এসি ও টেলিভিশনের মতো পণ্যের সংযোজন পর্যায়ে ভ্যাট অব্যাহতির ঘোষণা আসছে। তবে মোটরসাইকেলের বিষয়ে আমি নিশ্চিত নই। পণ্যের বাজারে অস্থিরতা পরিহার করতে ভ্যাট অব্যাহতির সুবিধায় নতুন করে আসছে অন্তত দুই শতাধিক পণ্য।
এর আগে গত ২৭ মে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত ভ্যাট ১৫ শতাংশ রাখার ঘোষণা দেন। তিনি বলেন, অনেক আলোচনা করে আমরা শেষ পর্যন্ত ভ্যাটের হার ১৫ শতাংশই রাখছি। এই ভ্যাট কাঠামোতে বাজারে পণ্যমূল্য কোনো অবস্থাতেই বাড়ার কথা নয়। তবে ভ্যাটমুক্ত টার্নওভারের সীমা এবার বাড়ানো হচ্ছে এবং দুই-এক দিনের মধ্যে নতুন সীমা ঠিক করা হবে।
এরপর দেশীয় শিল্প উদ্যোক্তাদের মধ্যে এক ধরনের উদ্বেগ কাজ করছে। এজন্য দেশীয় শিল্প উদ্যোক্তাদের সুরক্ষায় সরকার এসব পণ্যে উৎপাদন পর্যায়ে ভ্যাট অব্যাহতি দিতে যাচ্ছে।
নতুন করে ভ্যাট অব্যাহতির তালিকায় আসছে- সফটওয়্যার শিল্প, বাস, ট্রেন ও লঞ্চের টিকিট, সব ধরনের প্রশিক্ষণ সেবা, হার্টের রোগীর রিং, ডায়ালাইসিসের কৃত্রিম কিডনিসহ দুই শতাধিক পণ্য। এ ছাড়া নিত্য প্রয়োজনীয় অধিকাংশ পণ্যে থাকছে ভ্যাট অব্যাহতির সুবিধা।
এদিকে নতুন ভ্যাট আইন বাস্তবায়নের পাশাপাশি সরকার আগামী ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ভ্যাট খাতে সর্বোচ্চ ৮৭ হাজার ৮৮৭ কোটি টাকা রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করতে যাচ্ছে। যা সরকারের মোট রাজস্ব আদায়ের ৩৫ দশমিক ৫০ শতাংশ। ২০১৭-১৮ অর্থবছরে সরকার জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) জন্য ২ লাখ ৪৮ হাজার ১৯০ কোটি টাকার রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করতে যাচ্ছে। যা চলতি অর্থবছরের সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রা থেকে ৫৮ হাজার ১৯০ কোটি টাকা বেশি।