বরগুনার পায়রা ও বিশখালী নদীসহ সাগরে ইলিশ আহরণের পরিমাণ বেড়েছে। জেলার বাজারগুলোতে আমদানি বাড়ায় সেখানে ইলিশের দাম কিছুটা কমেছে। পাশাপশি বিভিন্ন নদী, খাল, বিল, পুকুর ও জলাশয়ে প্রচুর প্রাকৃতিক দেশি প্রজাতির মাছ পাওয়া যাওয়ায় দাম কমায় এর প্রভাব পড়েছে ইলিশের বাজারে। স্থানীয় ক্রেতা ও বিক্রেতারা সংবামাধ্যমকে এমটাই জানিয়েছেন।
জানা গেছে, গত তিন দিনে প্রকার ভেদে ইলিশের কেজি প্রতি দর কমেছে গড়ে ২০০ টাকা।
বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের (বিএফডিসি) বিপনন বিভাগ জানায়, গত বুধবার থেকে শুক্রবার পর্যন্ত তিনদিনে ১০ টন ইলিশ এসেছে তার বিতানে। শুক্রবার কেজি সাইজের ইলিশের মণপ্রতি পাইকারি দর ছিল ৬৮ হাজার থেকে ৭০ হাজার টাকা।
জেলা ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী গণমাধ্যমকে জানান, গত বছরের তুলনায় এখনো ইলিশ কম হলেও ক্রমশ মাছের পরিমাণ বৃদ্ধি পাচ্ছে।
স্থানীয় ক্রেতারা জানান, সাগরের ইলিশের চেয়ে পায়রা, বিষখালি ও বলেশ্বর নদীর ইলিশের স্বাদ অনেক বেশি।
স্থানীয় বাজারে সাগর থেকে ধরা (১ কেজি ওজনের) ইলিশের কেজি প্রতি দর চলছে ১ হাজার ২০০ টাকা, অন্যদিকে নদীর ইলিশের দাম কেজি প্রতি ১ হাজার ৪০০ টাকা। তিনটি ইলিশে ১ কেজি ওজন হয় এমন নদীর মাছের দর চলছে ৭০০ টাকা, বিপরীতে সাগরের মাছে পাওয়া যাচ্ছে ৬০০ টাকায়।
জেলা মৎস্য বিভাগের সিনিয়র কর্মকর্তা জয়ন্ত কুমার অপু জানান, এখনো মৌসুমের অনেকটা বাকি। পর্যাপ্ত ইলিশ ধরা পড়ার আশা ব্যক্ত করেছেন তিনি।