নিউজ ডেস্ক:
ব্রিটিশ কর্মকর্তাদের উদ্ধৃতি দিয়ে সাপ্তাহিক সানডে টেলিগ্রাফের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, “ইরানের গোপন সহযোগিতার কারণে উত্তর কোরিয়া পরমাণু অস্ত্র তৈরিতে সক্ষম হয়েছে। ” প্রতিবেদনে ব্রিটেনের শীর্ষ কর্মকর্তারা দাবি করেছেন, “এটা বিশ্বাস করা কঠিন যে, উত্তর কোরিয়া কারো সাহায্য ছাড়াই পরমাণু অস্ত্র তৈরি করেছে।
” সানডে টেলিগ্রাফে আরো বলা হয়েছে, “উত্তর কোরিয়াকে সহযোগিতাকারী দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে ইরান ও রাশিয়া। ”
দৈনিক ওয়াল স্ট্রিট জার্নালও এক প্রতিবেদনে ইরান গোপনে পরমাণু বোমা তৈরি করতে পারবে না উল্লেখ করে লিখেছে, “উত্তর কোরিয়া সরকার দাবি করেছে তারা যে পরমাণু ওয়ারহেড তৈরি করেছে তা দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্রের ওপর স্থাপন করতে পারবে। ” দৈনিকটি মন্তব্য করেছে, “উত্তর কোরিয়ার ডিজাইন অনুসরণ করে ইরানের শাহাব-তিন ক্ষেপণাস্ত্রে ওয়ারহেড স্থাপন করা হয়েছে যা কিনা বিপজ্জনক ও সংকট সৃষ্টি করবে। ”
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, পরমাণু ও ক্ষেপণাস্ত্র ইস্যুতে ইরান ও উত্তর কোরিয়ার মধ্যে গোপন সহযোগিতা বজায় রয়েছে বলে যে দাবি করা হচ্ছে, তার উদ্দেশ্য হচ্ছে কোরিয় উপদ্বীপে সংকট সৃষ্টির মার্কিন চেষ্টার ব্যাখ্যা দাঁড় করানো। অথচ বাস্তবতা হচ্ছে, উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে আমেরিকা ও তার মিত্রদের হুমকি ও অযৌক্তিক পদক্ষেপ নেয়ার কারণেই ওই অঞ্চলে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। পরমাণু পরীক্ষা থেকে বিরত থাকার শর্তে আমেরিকা যেসব প্রতিশ্রুতি উত্তর কোরিয়াকে দিয়েছিল তা পালন না করায় পিয়ং ইয়ং কঠোর অবস্থানে যেতে বাধ্য হয়। আর এখন আমেরিকা হুমকি ও নিষেধাজ্ঞার মাধ্যমে ওই দেশটিকে নতজানু করার চেষ্টা চালাচ্ছে। মূলত আমেরিকার প্রতি আস্থার অভাবেই উত্তর কোরিয়া পরমাণু অস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়ে যাচ্ছে।