নিউজ ডেস্ক:
ইরাকের বিখ্যাত আল নুরি মসজিদ (Al-Nuri Mosque) থেকে মসুলের মূল কেন্দ্রে প্রবেশ করতে লাগে পনের মিনিট। এইরকমই গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে পৌঁছে গিয়েছে ইরাকি-কুর্দিস সেনা জোট। ইরাকি সেনা কপ্টারের লাগাতার আক্রমণে মসজিদ থেকে সরে গিয়েছে ইসলামিক স্টেট জঙ্গিরা। গুলির লড়াই আরও তীব্র হয়েছে। আল নুরি মসজিদ সমগ্র মধ্য ও পশ্চিম এশিয়ার অন্যতম পুরনো ধর্মীয় উপাসনালয়। এটি ১১৭২ সালে তৈরি করা হয়েছিল৷ বিভিন্ন সময় সেটি সংস্কার হয়েছে৷ ২০১৪ সালে এই মসজিদ প্রাঙ্গণ থেকেই বাগদাদি নিজেকে ইসলামিক স্টেট ধর্মীয় রাষ্ট্র প্রধান (খলিফা) হিসেবে ঘোষণা করে৷ সেই অর্থে এই স্থানটিকে ‘খলিফা’ বাগদাদির সিংহাসন বলে মনে করা হয়।
আল জাজিরার খবর, মসুলের পুরাতন অংশে প্রাচীন আল নুরি মসজিদ দখল করলেই সাম্প্রতিক সময়ে সবথেকে বড় সাফল্যের মুখ দেখবে সেনা বাহিনী। এরকমই মনে করা হচ্ছে৷ মার্কিন কপ্টার থেকেও লাগাতার আক্রমণ জারি রয়েছে৷ এতেই মৃত্যু হচ্ছে ভিনদেশী আইএস জঙ্গিদের৷ এদের মধ্যে রয়েছে, রাশিয়ান, ব্রিটিশ, সিরিয়ান ও মরক্কো সহ বিভিন্ন দেশ থেকে আসা জঙ্গিরা।
ধীরে ধীরে কোণঠাসা হয়ে পড়েছে আইএস প্রধান আবু বকর আল বাগদাদির দলবল৷ নিজের গড়া ভয়ঙ্কর ধর্মীয় রাষ্ট্রেই তাকে মারতে মরিয়া যৌথ বাহিনী৷ ধারণা করা হচ্ছে, মসুল থেকে সরে দূরবর্তী কোনও স্থানেই লুকিয়ে ইসলামিক স্টেটের স্বঘোষিত খলিফা।
বিভিন্ন সংবাদ সংস্থার খবর, রবিবার আইএস বিরোধী সেনা অভিযানে বড়সড় সাফল্য পেয়েছে ইরাকি-কুর্দিস সেনা জোট৷ পশ্চিম মসুলের রেল স্টেশন তাদের দখলে এসেছে৷ প্রাণভয়ে পালিয়েছে জঙ্গিরা। সূত্র: কলকাতা টুয়েন্টিফোর সেভেন।