গুচ্ছ থেকে বেরিয়ে স্বতন্ত্র ভর্তির দাবিতে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ সমাবেশ করেন। এসময় শিক্ষার্থীরা প্রশাসনিক ভবনের মেইন গেটে তালাবদ্ধ করেন। এতে প্রশাসনিক ভবনে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য, কোষাধ্যক্ষ এবং প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা।
আজ শনিবার সকাল ১১ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান করে শিক্ষার্থীরা এই বিক্ষোভ সমাবেশ করেন।
এসময় “জেগেছে রে জেগেছে, ছাত্রসমাজ জেগেছে” “সবাই যখন বাহিরে, ইবি কেন গুচ্ছে” “সাস্ট যখন বাহিরে, ইবি কেন গুচ্ছে” “জবি যখন স্বাধীন, ইবি কেন পরাধীন” “দফা এক দাবি এক, ইবি গুচ্ছের বাহিরে যাক” নানা স্লোগানের মধ্যে দিয়ে বিক্ষোভ সমাবেশ করে শিক্ষার্থীরা।
এই বিষয়ে আল হাদিস এন্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষার্থী ইসমাইল হোসেন রাহাত বলেন, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে স্বাধীনতা পরবর্তী প্রথম বিশ্ববিদ্যালয়। তবুও আজকে আমরা কেন পরাধীন? তিনি আরো বলেন, আর কোনো হেলাফেলা করে আমাদের দমানো চলবে না। বিশ্ববিদ্যালয়ের সক্রিয়তা ফিরে আনতে যদি আমাদের দাবি মানা না হয় তাহলে আন্দোলন আরো তীব্র হবে। আমরা আর তৃতীয় শ্রেণীর বিশ্ববিদ্যালয়ের মর্যাদায় থাকতে চাই না।
এছাড়াও ব্যবস্থাপনা বিভাগের শিক্ষার্থী রব্বানী বলেন, আমরা শীতকালীন ছুটি আগ পর্যন্ত এই বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের সাথে আলোচনার চেষ্টা করতেছি কিন্তু প্রশাসন আমাদের সাথে আজ পর্যন্ত কোনো আলোচনা করে নাই। এমনকি আমরা শিক্ষার্থীদের মতামত নেওয়ার জন্য গণস্বাক্ষরের আয়োজন করেছিলাম যেখানে অধিকাংশ শিক্ষার্থী স্বতন্ত্র ভর্তির পক্ষে স্বাক্ষর করেছিল। কিন্তু এতে কাজ না হওয়ায় আজকে আমরা এই সমাবেশ করছি। যদি আমাদের এই বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কোনো রোডম্যাপ ঘোষণা না করেন তাহলে আমরা আমাদের আন্দোলন চালিয়ে যাবো।
এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের পক্ষ থেকে উপাচার্য প্রফেসর ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ অনুপস্থিত থাকায় উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. এম. এয়াকুব আলী বলেন, আমি তোমাদের দাবির সাথে একমত। আমিও তোমাদের মতো এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলাম। আমি কোনোদিন গুচ্ছে থাকার পক্ষে ছিলাম না। আমি এর আগে তোমাদের কার্যক্রম সম্পর্কে অবগত ছিলাম না। যেহেতু তোমরা আজকে এখানে এসেছ আমি চেষ্টা করবো মাননীয় উপাচার্যের সঙ্গে কথা বলে যত শীঘ্রই সম্ভব এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানানোর।
এরপর প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহীনুজ্জামান ফোন কলের মাধ্যমে উপাচার্যের সঙ্গে কথা বলে আগামীকাল বিকাল ৩ টায় শিক্ষাথীদের প্রতিনিধির সাথে আলোচনায় বসবেন বলে জানান বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। পরবর্তীতে প্রশাসনিক ভবনের গেটের তালা খুলে দেওয়া হয়।