ইবলীসকে জান্নাত থেকে বহিস্কার করার পর সে মহান আল্লাহ কে সম্বোধন করে বলেছিল – হে পরওয়ারদেগার ! আপনি আমাকে আদমের কারণে জান্নাত থেকে বহিস্কার করেছেন । আপনি যদি আমাকে ক্ষমতা দান না করেন তা হলে আমি তাঁর শক্রতা ও ক্ষতি সাধন করতে পারব না । তখন আল্লাহ তা‘লা তাকে বললেন , যা , আমি তোকে ক্ষমতা প্রদান করলাম । তুই তাদের ক্ষতি সাধন করার ক্ষমতা প্রাপ্ত হলে । তবে আম্বিয়া আলাইহিমুস্ সালাম মা‘সুম নিস্পাপ হওয়ার কারণে তুই তাদের কোন ক্ষতি সাধন করতে পারবি না । তাহারা তোর থেকে মাহফুয , তাদের উপর তোর কোন কর্তৃত্ব নেই । ইবলীস বলল , আমাকে আরো অধিক ক্ষমতা দান করুন । আল্লাহ বললেন , যে , এক একজন আদম সন্তানের শক্রতার জন্য তোর দু‘ দুটি সন্তান জন্ম নিবে । তখন সে বলল-আমাকে আরো ক্ষমতা দিন । আল্লাহ বললেন , যা তাদের বক্ষদেশ তোর আবাসস্থল হবে এবং তাদের শিরায় শিরায় তোর চলার ক্ষমতা থাকবে । সে বলল , আমাকে আরো অধিক ক্ষমতা দিন । তখন আল্লাহ বললেন , যা , আদম সন্তানের বিরুদ্ধে তোর অশ্বারোহী ও পদাতিক বাহিনী নিয়ে মেতে উঠ । তোর সহযোগীদের সবাইকে নিয়ে তাদের ক্ষতি সাধনে মত্ত হয়ে যা , তাদেরকে ধন সম্পদ উপার্জনে ,জীবিকার্বাহে, হারাম উপায়ে যথা -ঋতুকালীন সময়ে স্ত্রীদের সাথে মিলনে , সন্তান-সন্ততিদের শিরকি নাম রাখা ব্যাপারে প্রতারিত কর ,অনুরুপ ভ্রান্ত ধর্ম ও ভ্রান্ত মতবাদে বিশ্বাসী করে গর্হিত কার্যকলাপ দ্বারা তাদেরকে পথভ্রষ্ট করার প্রচেষ্টা চালিয়ে যা । যেমন মিথ্যা প্রতিশ্রুতি প্রদান । তারা তোমাদের জন্য সুপারিশ করবে বলে মূর্তিপূজা ও শিরকের জন্য প্রচেষ্টা চালিয়ে যা । অথবা বাপ-দাদা বুযুর্গী দ্বারা নাজাত পেয়ে যাবে , অথবা দীর্ঘ দিন বেঁচে থাকার আশা দিয়ে তওবা থেকে বিরত রাখা ইত্যাদি । তবে মনে রাখিস , যারা আমার খাঁটি বন্দা , যারা আমার হুকুম আহকাম পালন করবে , তাদের তুই কোন ক্ষতি করতে পারবি না । ( মনে রাখবি এ সব কিছুই মহান আল্লাহর পক্ষ হতে তার বান্দাদের সাবধানতার জন্য করা হয়েছে ) ।