নিউজ ডেস্ক:
এবারের রমজানে গরমের প্রকোপ অনেক বেশি। ১৪ থেকে ১৫ ঘণ্টা রোজা রাখা আসলেই খুবই কষ্টের।
এই গরমে এতক্ষণ রোজা রাখার ফলে অনেকের ইউরিন ইনফেকশন দেখা দেয়। এর কারণ হল অপর্যাপ্ত পানি পান। রোজা রেখে পানি পান করা সম্ভব নয়। তাই চেষ্টা করুন ইফতার এবং সাহরিতে পর্যাপ্ত পানি পান করার।
সেক্ষেত্রে আপনি ভাজা খাবারের পরিবর্তে পানীয় এবং ফলমূল রাখুন বেশি করে। আসুন কিছু পানীয় সম্পর্কে জানা যাক যেগুলো ইফতারে আমাদের জন্য খুবই উপাদেয় হবে।
ডাবের পানি : ইফতারে ডাবের পানি রাখতে পারেন। এতে গ্লুকোজ আছে যা আপনাকে শক্তি দেবে এবং পানির চাহিদা অনেকাংশে পূরণ করবে। এর সঙ্গে ডাবের নরম সাদা অংশ রাখতে পারেন। ক্ষুধা মেটানোর মতো পর্যাপ্ত ফাইবার রয়েছে ডাবের সাদা অংশে।
লেবুর শরবত : প্রতিদিন একটি লেবুর রস খাওয়া ভালো। তবে এই রমজানে আপনি আপনার প্রতিদিনের ইফতারে রাখতে পারেন লেবুর শরবত। স্বাদ বাড়াতে চাইলে সঙ্গে মেশাতে পারেন চিনি। আর যদি কোনো ধরনের শারীরিক সমস্যা থেকে থাকে যেমন ডায়াবেটিস তাহলে শুধু লেবুর রস মেশানো পানি পান করে ফেলুন।
স্মুদি : আমরা অনেকেই জুস এবং স্মুদি একই মনে করে থাকি। আসলে তা নয়। জুসের ক্ষেত্রে আমরা শুধু ফলের রসটুকু নিই এবং ফাইবারটা ফেলে দিই। কিন্তু স্মুদি হল সম্পূর্ণ ফলের ফাইবার এবং রস। ফলের জুস খাওয়ার থেকে স্মুদি খাওয়া বেশি ভালো। এতে করে শরীরে ফাইবার এবং পানীয় দুইটাই পাওয়া যায়।
এখন পুরো ফলের মৌসুম। চারদিকে মৌসুমি ফলের সমাহার। আপনি চাইলে আপনার প্রতিদিনের ইফতার তালিকাতে ফলের স্মুদি রাখতে পারেন। স্মুদির স্বাদ বাড়ানোর জন্য ফলের সাঙ্গে চিনি, গোল মরিচের গুঁড়া, সামান্য লবণ এবং কাঁচা মরিচ মেশাতে পারেন।
চেষ্টা করবেন বোতলজাত করা জুস বা পানীয় এড়িয়ে চলার। এই খাবারগুলো আমাদের শরীরের জন্য যে ঠিক কতখানি ভালো তা আমরা কম বেশি সবাই জানি। সব ধরণের বোতলজাত পানীয় পান থেকে বিরত থাকুন এই রমজানে।
ইফতারে অবশ্যই প্রচুর ফল রাখবেন। বিশেষ করে আপেল। আপেলের বেশিরভাগই পানি এবং ফাইবার। এই ফলগুলো শরীরে খাবারের সঙ্গে সঙ্গে পানির চাহিদাও পূরণ করে।
ইফতারে তেলে ভাজা খাবার না খাওয়ার চেষ্টা করুন। কারণ তেলে ভাজা খাবার শরীরে পানির চাহিদা বাড়িয়ে তোলে। এবং ইফতারের কিছুক্ষণ পরই রাতের খাবার খেয়ে ফেলবেন তারপর বাকি সময়ে বেশি করে পানি পান করার চেষ্টা করবেন।
সব থেকে বড় কথা হল, রমজানে সুস্থভাবে সবগুলো রোজা রাখতে পারা। কিন্তু ইফতার বা সাহরির খাবার বা পানীয় বাছাইটা যদি ভুল হয়, তাহলে অনিশ্চয়তা থেকে যায় যে আপনি কতখানি সুস্থভাবে রোজা রাখবেন। বিশেষ করে ইফতারের খাদ্য তালিকাটি ঠিক করুন খুব বিবেচনা করে। কারণ সারাদিন রোজা রাখার পর আমরা ইফতারেই প্রথম খাবার গ্রহণ করি। ইফতারে উল্টা পাল্টা খেলে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দেখা দিয়ে পারে। সর্বোপরি এই রমজানে সুস্থ থেকে রোজা রাখুন।