নিউজ ডেস্ক:
সরকারি রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল (ইপিজেড) ও বেসরকারি রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলের অধীন প্রতিষ্ঠানগুলোকে যন্ত্রপাতি বা যন্ত্রাংশ আমদানিতে আমদানি শুল্কসহ সব ধরনের শুল্ক ও মূল্য সংযোজন কর (মূসক/ভ্যাট) থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
এ সুবিধা পেতে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোকে পাঁচটি শর্ত পূরণ করতে হবে। অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. নজিবুর রহমানের সই করা প্রজ্ঞাপন সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
প্রজ্ঞাপন সূত্রে জানা যায়, কাস্টমস আইন ১৯৬৯ ও ১৯৯১ সালের মূল্য সংযোজন কর আইনের প্রদত্ত ক্ষমতাবলে রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল (ইপিজেড) ও বেসরকারি রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলের অধীন আমদানিকৃত যন্ত্রপাতি বা যন্ত্রাংশ বা উভয়ের ওপর আমদানিকালে আরোপনীয় সব আমদানি শুল্ক, রেগুলেটরি শুল্ক, সম্পূরক শুল্ক (যদি থাকে) ও মূল্য সংযোজন কর শর্তসাপেক্ষে অব্যাহতি দেওয়া হলো।
শর্তগুলো হলো- (১) একই এইচএস কোডের আওতাভুক্ত মূলধনী যন্ত্রপাতি কিংবা যন্ত্রাংশ আমদানির ক্ষেত্রে আমদানির বিল অব এন্ট্রি দাখিলের তারিখ থেকে এক বছরের মধ্যে সব যন্ত্রপাতি বা যন্ত্রাংশ আমদানি করতে হবে। তবে শর্ত থাকে যে, উন্নত প্রযুক্তির বৃহদায়তন শিল্পের যন্ত্রপাতি বা যন্ত্রাংশ এক বছরের মধ্যে আমদানি করতে না পারলে আমদানিকারকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এনবিআর প্রয়োজনে ওই সীমা অনধিক তিন বছর পর্যন্ত সময় বাড়াতে পারবে।
(২) যন্ত্রপাতি বা যন্ত্রাংশ বা উভয়ের আমদানির ক্ষেত্রে বাংলাদেশ এক্সপোর্ট প্রসেসিং জোনস অথরিটির (বেপজা) ইমপোর্ট পারমিট দাখিল করতে হবে।
(৩) আমদানিকৃত যন্ত্রপাতি বা যন্ত্রাংশ বা উভয় নিজস্ব শিল্প ব্যতীত অন্য কোনো কাজে ব্যবহার করা যাবে না এবং আমদানিকৃত যন্ত্রপাতি বা যন্ত্রাংশ বা উভয় অন্য কোনো কাজে ব্যবহার কিংবা হস্তান্তর করা হলে আরোপনীয় শুল্ক-কর প্রদানসহ আইনানুগ শাস্তি মানতে বাধ্য থাকবে।
(৪) আমদানিকৃত যন্ত্রপাতি বা যন্ত্রাংশ বা উভয় যথাযথভাবে যথাস্থানে স্থাপিত বা ব্যবহৃত হয়েছে কি না সে বিষয়ে বেপজা কর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোনো ব্যক্তি সরেজমিনে তদন্ত করে নিশ্চিত হবেন এবং সংশ্লিষ্ট বেপজা কর্তৃপক্ষের মহাব্যবস্থাপকের স্বাক্ষরে আমদানিকৃত পণ্য চালান খালাসের ছয় মাসের মধ্যে একটি প্রতিবেদন সংশ্লিষ্ট কমিশনার অব কাস্টমস বরাবর পাঠাতে হবে।
(৫) ইপিজেড কর্তৃপক্ষ থেকে প্রতিবেদন পাওয়ার পর যদি দেখা যায় যে, আমদানিকৃত যন্ত্রপাতি বা যন্ত্রাংশ বা উভয় আমদানিকারকের প্রতিষ্ঠানে স্থাপিত বা ব্যবহৃত হয়েছে তা হলে ওই সুবিধাপ্রাপ্ত হবে। অন্যথায় অব্যাহতিপ্রাপ্ত শুল্ক ও করাদি আমদানিকারকের কাছ থেকে আদায়যোগ্য হবে।
বর্তমানে দেশে আট সরকারি ও দুটি বেসরকারি ইপিজেড আছে।
সরকারি ইপিজেডগুলো হলো- আদমজী রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল, ঈশ্বরদী রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল, নীলফামারী/ উত্তরা রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল, কর্ণফুলী রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল, কুমিল্লা রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল, চট্টগ্রাম রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল, ঢাকা রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল ও মংলা রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল।
বেসরকারি ইপিজেড দুটি হলো- কোরিয়ান রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল(কেইপিজেড) ও রাঙ্গুনিয়া রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল।