নিউজ ডেস্ক:
প্রস্তাবিত চতুর্থ প্রজন্মের (ফোরজি) প্রস্তাবিত নীতিমালায় টেলিকম সেবায় ইন্টারনেটের গতির মান এক জিবিপিএস (এক গিগাবাইট পার সেকেন্ড) নির্ধারণ করা হয়েছে। নীতিমালায় বলা হয়েছে, ট্রেনে ও মহাসড়কে গাড়িতে চলার সময় ইন্টারনেটের গতি ১০০ এমবিপিএসের (১০০ মেগা বিট পার সেকেন্ড) নিচে নামতে পারবে না। তবে ইন্টারনেটের এই গতি নির্ধারণের বিষয়ে মোবাইল অপাটেরদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা গেছে। আনুষ্ঠানিকভাবে এ বিষয়ে এখনো কেউ মুখ না খুললেও নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অপারেটরের এক শীর্ষ কর্মকর্তা বলেন, এই গতি নির্ধারণের ফলে গ্রাহকের বর্তমানের খরচের চেয়ে দশগুণ বেড়ে যাবে। অপারেটরা এতে বিনিয়োগ করলেও খরচ বেড়ে যাওয়ার কারণে গ্রাহকরা সেবা নিতে চাইবেন না। ফলে এটি তাদের জন্য ব্যবসা সফলও হবে না।
খসড়া এই নীতিমালার ওপর মতামত সংগ্রহের জন্য নয় দিনের সময় দিয়ে গত মঙ্গলবার টেলিযোগাযোগ বিভাগ এটি নিজেদের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করে। খসড়া নীতিমালাটি প্রণয়ন করেছে বাংলাদেশে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। তবে গতি নির্ধারণের এই প্রক্রিয়াকে মোবাইল ফোন অপারেটরগুলো বলছে, ৫ এমবিপিএসের ওপরের গতির মোবাইল ইন্টারনেটকে ফোরজি বা এলটিই হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এর মধ্যে বড় তিনটি অপারেটরই ফোরজি নিয়ে তাদের নেটওয়ার্কে নানা পরীা চালিয়েছে। বৃহস্পতিবার বিটিআরসির তত্ত্বাবধানে সব মোবাইল অপারেটর, ভেন্ডর ও এনটিটিএন অপারেটররা মিলে ফোরজি সফল পরীক্ষা চালায়। এতে ১৩০ এমবিপিএস গতির ডেটা ডাউনলোড করা হয়েছে এবং ১০০ এমবিপিএস গতিতে আপলোড করা হয়েছে।
লাইসেন্সের খসড়ায় বলা হয়েছে, লাইসেন্স নেওয়ার প্রথম নয় মাসের মধ্যে সব বড় শহরে ফোরজির সেবাটি নিয়ে যেতে হবে। আর ১৮ মাসের মধ্যে সেটি নিয়ে যেতে হবে জেলা শহরগুলোতেও। আর লাইসেন্সের পাঁচ বছরের মধ্যে সব উপজেলা, মহাসড়ক ও রেললাইনসহ লোকজনের যাতায়াতের স্থানে ফোরজির সেবা থাকতে হবে। যেসব এলাকায় অপারেটরগুলো সেবা চালু করবে, সেখানে আর কোনো অবস্থায় বিটিআরসির অনুমোদন ছাড়া সেবা বন্ধ করতে পারবে না তারা।